Nadia Rape Allegation

রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ‘গণধর্ষণ’! মাথা থেঁতলে নির্যাতিতাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা, নদিয়ায় চাঞ্চল্য

নদিয়ার ভীমপুরে এক মহিলাকে রাতে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক প্রতিবেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নদিয়া শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৯
Share:

বধূকে গণধর্ষণের অভিযোদ নদিয়ায়। —প্রতীকী চিত্র।

রাতে ঘরের সিঁদ কেটে ঢুকে বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বধূকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার ভীমপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি পূর্বপাড়া এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে এক মহিলাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই মহিলার শাশুড়ি তাঁকে ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। চেঁচিয়ে প্রতিবেশীদের জড়ো করেন তিনি। বধূকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। পথেই মৃত্যু হয়েছে মহিলার। কেউ বা কারা রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে মহিলার উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

মহিলার শাশুড়ি বলেন, ‘‘আমি বৌমার চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখলাম, সে মেঝের উপর পড়ে আছে। ঘরের সিঁদ কাটা। তখন বুঝলাম, কেউ বা কারা সেখান দিয়ে ঘরে ঢুকেছিল। বৌমার মাথা, কান থেকে রক্ত পড়ছিল। কাপড় ছিল অবিন্যস্ত। আমি চেঁচিয়ে পাড়ার লোকজনকে ডাকি। তার পর ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল। রাস্তাতেই বৌমা মারা গিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। কে করল, কেন করল— আমি জানতে চাই।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি রাতে বাড়িতে ছিলেন না। বধূকে একা পেয়ে কেউ বা কারা এই কাজ করেছে বলে পুলিশের অনুমান। পরিবারের তরফে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবেশী এক সন্দেহভাজন যুবকের নামও পুলিশকে জানানো হয়েছে। ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার মাকওয়ান বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা চলছে। প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সবসময় তা সম্ভব হয় না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement