lockdown

‘লকডাউন তাও ভাল, আমরা তো জলবন্দি’

এলাকার মানুষের বক্তব্য, জলের জন্যই তাঁরা বাইরে পা ফেলতে পারছেন না। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুলিয়ান, বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০২:০২
Share:

জলমগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়েই দেওয়া হচ্ছে দুধ। নিজস্ব চিত্র

ধুলিয়ান পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ধুলিয়ান গাজিনগর রোড। টানা প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জল জমে থাকলেও নজর নেই প্রশাসনের।
পুরসভার ৯, ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ ছাড়াও গাজিনগর মালঞ্চার প্রায় হাজার পাঁচেক লোক নিত্যদিন যাতায়াত করেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, জলের জন্যই তাঁরা বাইরে পা ফেলতে পারছেন না।
একই অবস্থা বেলডাঙা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সঙ্গে ঘনবসতি পূর্ণ এই এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার জলভাসি। রাস্তার ধারের বাড়ি গুলো জলমগ্ন। এলাকার সুরজ শেখ বলেন, ‘‘আমরা তো জলেই বন্দি হয়ে রয়েছি। লকডাউন না হলেও আমরা বেরোতে পারতাম না।’’
এই এলাকায় জল জমেছে রাস্তা লাগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। এই এলাকায় রাস্তার দুই দিকে প্রায় ৩০টা ছোট বড় দোকান রয়েছে। সেই ব্যবসায়ীরা দোকানে ব্যবসা করতে পারছেন না। এ ছাড়াও বেলডাঙা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটা অংশের রাস্তা জলমগ্ন। শনিবার বেলডাঙা ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাথপাড়া এলাকার মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। এলাকার বেশ কিছু যুবক প্রথমে এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলার তাহামিনা বিবির কাছে যায়। তারপর তাঁরা পাঁচরাহা রেল গেট পেরিয়ে ছাপাখানা হয়ে পুরপ্রশাসক ভরত ঝাওরের বাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু শনিবার লকডাউনের দিন এত মানুষকে এক সঙ্গে দেখে বেলডাঙা থানার ওসি জামালউদ্দিন মণ্ডল তাঁদের আটকায়। তাঁরা সমস্যার কথা জানালে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে বেলডাঙা পুরসভার প্রশাসক ভরত ঝাওর ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য আবুসুফিয়ান মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে। পরে জলমগ্ন এলাকা দেখতে যান ওসি। বেলডাঙা পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য আবু সুফিয়ান মণ্ডল বলেন, “এলাকা থেকে পাইপে করে জল নামিয়েছি। কিন্তু পুনরায় বৃষ্টি হওয়ায় সেই জল জমে যাচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement