পরিদর্শকদের কাছে ক্ষোভ।
দিনভর গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে খোঁজ নিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর ও কুরুন্নরুণ গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে তাঁরা গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বড়ঞার বিডিও মণীশ নন্দী ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
ওই দিন সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জাওহাঁড়ি, ভড়ঞা, মামদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধ সংস্কারের কাজও খতিয়ে দেখেন ওই প্রতিনিধি দল। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবাস যোজনার ঘর থেকে এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সঙ্কট থেকে একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেন ওই প্রতিনিধি দলের কাছে।
টলি বাগদি বলেন, “প্রায় দশ মাস আগে এলাকায় মাস খানেক ধরে একশো দিনের কাজ করেছি। কিন্তু আমরা এখনও ওই কাজ করার টাকা পাইনি। কেন্দ্রীয় দলের লোকজনদের জানিয়েছি, কিন্তু তাঁরা সমস্ত কিছু শোনার পরে চলে গেলেন।” স্বরা বাগদি বলেন, “ঘর থেকেও ঘর নেই, ছিটে বেড়ার ঘরে বসবাস করছি। এ বারও ঘরের তালিকায় নাম ছিল কিন্তু সেই তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।” দাবি, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছে জানতে পেরে তড়িঘড়ি কয়েকটি ভাঙা রাস্তা দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। লাল্টু শেখ বলেন, “তিন দিন হল, রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় সাত বছর ধরে রাস্তা বিকল হয়ে ছিল, তখন নজরে আসেনি। দু’দিন হল রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে।” ওই দিন সকাল থেকে সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকটি গ্রাম ঘুরে পরিদর্শন করেন।
তবে বাসিন্দাদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে দেখা যায়নি পরিদর্শকদের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “সমস্ত কিছুই বললাম, কিন্তু কোনও জবাব পেলাম না।” বিডিও বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এলাকায় পরিদর্শন করেছে।” সাবলদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে। তবে বাসিন্দাদের কথা না শুনেই অন্য গ্রামে চলে যান তাঁরা।