ফের তালা স্কুলের গেটে

ফের স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ডোমকলের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার শিবনগর গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৫
Share:

চলছে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র

ফের স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ডোমকলের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার শিবনগর গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

এ দিন স্কুলের গেটে তালা ঝোলানের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও বসিয়ে রাখা হয়। তাঁদের দাবি, প্রধান শিক্ষক ধীমান গায়েন প্রায় মাস খানেরক হতে চলল স্কুলে আসছেন না। ফলে মিড-ডে মিল বন্ধ। একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে স্কুলে। তাই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকে স্কুলে এসে স্কুলের অচলাবস্থা কবে কাটবে তা স্পষ্ট করতে হবে।

খবর পেয়ে ডোমকলের যুগ্ম বিডিও মনিরুল ওয়াসিম হক গ্রামে যান। শেষে তাঁর আশ্বাস পেয়ে শিক্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হলেও গেটের তালা খোলা হয়নি।

Advertisement

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পুরবী দে বিশ্বাস বলেন, ‘‘খবর পেয়েছি। প্রয়োজনে মঙ্গলবার গ্রামে যাব। যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ তাঁর সম্পর্কেও আমি খোঁজ নিয়েছি। গোটা বিষয়টি দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’’

স্কুলের এই অচলাবস্থায় বিরক্ত শিক্ষকদের একাংশও। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রধান শিক্ষক প্রায় মাস খানেক স্কুলে আসেননি। কাউকে দায়িত্বও বুঝিয়ে দেননি। ফলে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এমনকী সামান্য একটা শংসাপত্র নিতে এলেও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’

শিক্ষক রাজা সরকারের কথায়, ‘‘প্রধান শিক্ষকের জন্য আমাদের হেনস্থা হতে হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক ছাত্র অভিভাবকেরা প্রশাসনিক কাজে এসে দিনের পর দিন ফিরে যাচ্ছেন।’’

তাঁর দাবি, দিন কয়েক আগে একজন প্রতিবন্ধী ছাত্রকে শংসাপত্র দিতে পারিনি তাঁরা। স্কুলশিক্ষা দফতর বিষয়টির দিকে নজর না দিলে বড় সমস্যা তৈরি হবে।

গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা শিক্ষকের বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে চিঠিচাপাটি করেছেন। স্কুলের অন্য শিক্ষকদের বলেছেন বার কয়েক। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা তালা ঝুলিয়েছেন। তাদের অভিযোগ দরিদ্র এলাকা, অনেক পরিবারের ছেলেরা দুপুরের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু প্রায় মাস খানেক ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ। তা ছাড়া প্রশাসনিক কোনও কাজই হচ্ছে না স্কুলে এসে। এমনকী স্কুলের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীরা কি অবস্থায় আছে সেটাও খোঁজ নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের।

ডোমকলের এসডিও তাহিরুজ্জামান বলেন, ‘‘বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষা দফতরে একটা চিঠি করেছে ডোমকলের বিডিও। আমি নিজেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলেছি। গ্রামের মানুষের দাবি, ডিআইকে স্কুলে আসতে হবে। তিনি এলেই আশা করছি সমস্যা
মিটে যাবে।’’

এ দিকে প্রধান শিক্ষকের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে দেখা করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement