স্কুলে লেখাপড়া লাটে, ক্ষোভ অভিভাবকদের

অভিভাবক ও পড়ুয়ার একাংশের অভিযোগ, এমন গণ্ডগোল স্কুলে নতুন নয়। যখনই এমন কিছু ঘটে, থমকে যায় পঠনপাঠন। স্কুল কর্তৃপক্ষের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্য মাঝেমধ্যেই এমনটা ঘটছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হোগলবেড়িয়া  শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০১:২১
Share:

স্কুলের সামনে জটলা। নিজস্ব চিত্র

একাদশ শেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া। এমনই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েক জন ছাত্র নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। সে রেশ চলে শুক্রবার পর্যন্ত। নিট ফল, টানা দু’দিন ধরে শিকেয় উঠল হোগলবেড়িয়া আদর্শ শিক্ষানিকেতনের পঠনপাঠন।

Advertisement

অভিভাবক ও পড়ুয়ার একাংশের অভিযোগ, এমন গণ্ডগোল স্কুলে নতুন নয়। যখনই এমন কিছু ঘটে, থমকে যায় পঠনপাঠন। স্কুল কর্তৃপক্ষের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্য মাঝেমধ্যেই এমনটা ঘটছে। ঘটনার শুরু বুধবার থেকে। বৃহস্পতিবার কয়েক জন ছাত্র নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। সে দিন চতুর্থ পিরিয়ডের পরে আর ক্লাস হয়নি। একই ঘটনার জেরে শুক্রবারও শুরু থেকেই স্কুলে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। এ দিনও পড়ুয়ারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ স্কুলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সবাইকে নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসেন। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী দিনে পড়ুয়ারা গণ্ডগোল করলে স্কুলের তরফে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিভাবকদের একাংশের দাবি, এর আগেও বিভিন্ন কারণে স্কুলে গণ্ডগোল হয়েছে। তার জেরে পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পরিচালন সমিতি সক্রিয় হলে এমনটা ঘটত না। গত দু’দিন ধরে দূরদূরান্ত থেকে পড়ুয়ারা এসে ফিরে গিয়েছে। এ ভাবে পড়ুয়াদের ক্ষতি কোনও ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশটাই ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পড়ুয়াদের কথায়, “স্কুলের দাদাদের মারামারিতে দু’দিন আমাদের ক্লাস হয়নি। ভয় পেয়ে বাড়ি চলে এসেছি। আমাদের অনেক বন্ধু চরমেঘনা, রঘুনাথপুর বা রামনগরের মতো দূরের গ্রাম থেকে স্কুলে আসে। বৃষ্টির মধ্যে কষ্ট করে এসেও তাদের ফিরে যেতে হয়েছে।”

Advertisement

হোগলবেড়িয়া আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক বিমল বিশ্বাসের দাবি, একটা সমস্যা হয়েছিল। সেটা মিটেও গিয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটছে কেন? সে বিষয়ে অবশ্য বিমলবাবুর কাছে কোনও সদুত্তর মেলেনি। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সনৎ মণ্ডল বলেন, “এই ছোট ঘটনাকে নিয়ে যে এমন গণ্ডগোল হবে, বুঝতে পারিনি। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা আর না ঘটে সে দিকে নজর রাখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement