যান-জট। রঘুনাথগঞ্জে অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া।
বৃহস্পতিবার ব্যস্ত সময়ে লরির চাকা ভেঙে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা যানজটে নাকাল হল রঘুনাথগঞ্জ। এমনিতেই অটো ও টুকটুকের দাপটে শহরের যানজটে নাজেহাল পথচারীরা। ভাগীরথী সেতুর গোড়ায় রঘুনাথগঞ্জ ফুলতলা থেকে খড়খড়ি সেতু পর্যন্ত পথচারীদের জন্য ফুটপাথ ছোট ব্যবসায়ী ও ফল বিক্রেতাদের দখলে। তার উপর একপাশে অটোর দাপাদাপি। অন্যপাশে খুশি মতো যাত্রী তুলতে দাঁড়িয়ে পড়ছে টুকটুক। আর এ সবের কারণেই সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত যানজট যেন এ শহরের রোজনামচা।
এ দিন একটি লরি শহরে ঢোকার মুখে বিকল হয়ে পড়ায় বিপত্তি বাধে। সিভিক ভলান্টিয়ার্স ও পুলিশ নামিয়েও সামাল দেওয়া যায়নি সেই যানজট। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা পরে লরি সারনোর পরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে শহর। রঘুনাথগঞ্জ শহরে গত ১০ বছরে ৮টি ওয়ার্ডে ১৯ হাজার থেকে লোকসংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন, বাজার, দোকান। আশপাশের গ্রাম থেকে ভিড় বেড়েছে শহরে। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি রাস্তাঘাট। বরং দোকানপাট দখল নিয়েছে শহরের রাস্তার। আর তারই জেরে এ ভোগান্তি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
জঙ্গিপুর পুরসভা এই দুর্ভোগের দায় সরাসরি চাপিয়েছে পুলিশের উপর। তৃণমূলের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম জানান, শহরে প্রায় ৮০০ টুকটুককে পুরসভা অনুমতি দিয়ে একটি করে নম্বর দিয়েছে। আপাতত সে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বহু টুকটুক চলছে শহরে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই। অটোর সঙ্গে পুরসভার কোনো সম্পর্ক নেই। শহরের দু’পাড়ে যত অটো চলছে তার ৯৮ শতাংশেরই কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। চলছে রাজনৈতিক ইউনিয়নের প্রশ্রয়ে। অথচ পুলিশ নির্বাক দর্শক। ফলে যানজটে জেরবার হচ্ছে শহর।
জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য বলছেন, “টুকটুক ও অটো নিয়ন্ত্রণের জন্য ধরপাকড় চলছে মাঝে মধ্যেই। বাসস্ট্যান্ড ও ফুলতলায় রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। সে সব রাস্তা সারানো দরকার।’’