বছরের প্রথম ক’দিনেই ভিড়ে ভরে উঠল হাজারদুয়ারি। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সকাল থেকেই পর্যটকদের দল নিয়ে ব্যস্ত লালবাগের বাসিন্দা গোপাল দাস। গোপালবাবু পর্যটক গাইড। প্রায় ১৮ বছর ধরে হাজারদুয়ারি চত্বর থেকে পর্যটকদের নিয়ে হাজারদুয়ারি সহ শহরের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখান।
এ দিন সকাল থেকে শ্বাস নেওয়ার ও সময় নেই গোপালবাবুর কাছে একের পর এক পর্যটক দলকে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। দিন শেষে একটা চওড়া হাসি হেসে তিনি বলছেন, "বছর শুরুর এই তিন দিন খুব ভালই ব্যবসা হয়েছে দাদা। রবিবার তো একটুও বসার সুযোগ পায়নি।"
নতুন বছর শুরু হতে না হতেই শুক্র শনি ও রবিবার পর্যটকের বাঁধ বাঁধল মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটনের শহর লালবাগে। আর বছর শুরুতেই পর্যটকের ভীড় ভাঙর সঙ্গে সঙ্গে ভালো ব্যাবসা হওয়ায় খুশি লালবাগের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার নতুন বছরের শুরুতেই বেশ ভাল পর্যটক আসে লালবাগ শহরে। ওই দিনই মুখে হাসি ফোটে শহরের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই। তবে সকলেরই আশা ছিল শনিও রবিবার পর্যটকের বাঁধ ভাঙবে শহরে। আর হলও তাই। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই আশা পূর্ণ করেই শনি ও রবিবার পর্যটকের বাঁধ ভাঙল লালবাগে।
শহরের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলের দাবি, গত শুক্র ও শনি বার মিলিয়ে যেই পরিমান পর্যটক লালবাগে এসেছিল সেই সেই পরিমাণ পর্যটক রবিবার এসেছিল।
এ দিন প্রায় ৪৫টি বড় বাসে করে পর্যটকেরা লালবাগে আসে এছাড়াও ট্রেনে ও ছোট গাড়িতে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক শহরে এসেছিলেন।
এ দিন মুর্শিদাবাদ সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নতুন বছরের শুরুর তিন দিন ভাল পর্যটক শহরে এসেছে। তবে, রবিবার এই মরসুমের রেকর্ড পরিমান পর্যটক এসেছে তিন দিনে শহরের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই খুব খুশি।’’ মুর্শিদাবাদ টাঙা ইউনিয়নের সম্পাদক মনু শেখ বলেন, "তিন দিন খুবই ভাল ব্যবসা হয়েছে। রবিবার প্রচুর পরিমাণে পর্যটক শহরে আসে এমনকি সকাল সাড়ে এগারোটার পরও অন্তত পাঁচটা বড় বাস এসেছে।’’