যাত্রা-শুরু। বহরমপুর স্টেশনে।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য দূরের কথা, বরং শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায়, দু’জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বদলে দু’টি ইএমইউ কোচ চালু করে যাত্রীদের নতুন সমস্যায় ফেলে দিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ, ওই ইএমইউ কোচে কোনও শৌচাগার থাকছে না।
শুক্রবার থেকে চালু হওয়া ওই নয়া ট্রেন তাই প্রথম দিনেই অস্বস্থিতে ফেলেছে যত্রীদের।
শৌচালয় দূরস্থান ওই ট্রেনে জলের ব্যবস্থাও না থাকায় শিয়লদহ থেকে লালগোলা— ২২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়া যাত্রী সুদেব দাস বলছেন, ‘‘এ কী ভোগান্তি বলুন তো!’’ আর লালগোলায় নেমে তৃষ্ণায় ছটফট করা ইরিনা বিবি বলছেন, ‘‘গলায় পানি ঢালার সুযোগটুকুও কেড়ে নিল রেল!’’
রেলের এই তুঘলকি পরিবর্তনে রেলযাত্রী থেকে শুর করে ক্ষুব্ধ রেকর্মীরাও। কর্মীরা জানান, কয়েক দিন আগে এই পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়। তখন তাঁরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আপত্তির জবাবে পূর্ব রেলের এক কর্তা তাঁদের পাল্টা জানিয়েছিলেন, ইএমইউ ট্রেন কৃষ্ণনগরে আধ ঘণ্টা থামবে। তখন যাত্রীরা স্টেশনে নেমে শৌচকর্ম সেরে নিতে পারবেন। ওই হাস্যকর জবাবে রেলের এক কর্মীর মন্তব্য, ‘‘প্রকৃতির ডাক তবে সব সময় কৃষ্ণনগর স্টশনেই হবে!’’
আরও পড়ুন
শুক্রবার থেকে দু’ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বদলে ‘পরীক্ষামূলক ভিত্তি’তে ইএমইউ ট্রেন চলবে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পূর্ব রেলের চিফ প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজার। কৃষ্ণনগর স্টেশনে ইএমইউ ট্রেন গুলি ৩০ মিনিট অপক্ষা করবে বলে এ দিনের প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। তবে, বহরমপুর রেলওয়ে প্রোগ্রেসিভ সেবা সমিতি’র সভানেত্রী সোনালি গুপ্ত মনে করেন, শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন তুলে দিয়ে ইএমইউ ট্রেন চালু করা যাত্রীদের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত।