শ্যামনগরের পঞ্চায়েত সদস্যা নুরজাহান বিবি, তাঁর স্বামী হাবিব শেখ-সহ প্রায় ৬০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দেয়। —নিজস্ব চিত্র।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সমস্ত রাজনৈতিক দলই সংগঠন মজবুত করতে সচেষ্ট। সেই সময় শাসকদলের পতাকা ছেড়ে সিপিএমের পতাকা তুলে নিলেন প্রায় ৩০০ জন। তাঁর মধ্যে যেমন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কর্মী। রবিবার এমনই উলটপুরাণ দেখা গেল তেহট্ট থানার শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শ্যামনগরে একটি পথসভায় তাঁদের হাতে কাস্তে হাতুড়ি তারা আঁকা পতাকা তুলে দেন তেহট্টের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা রঞ্জিত মণ্ডল এবং এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস। যদিও এই দলবদলের কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার শ্যামনগরের পঞ্চায়েত সদস্যা নুরজাহান বিবি, তাঁর স্বামী হাবিব শেখ-সহ প্রায় ৬০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দেয়। নুরজাহানে কথায়, ‘‘তৃণমূল এখন দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এই দলের হয়ে আর ভোট চাইতে যেতে পারব না। আর বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়ার ক্ষমতাও নেই। সিপিএমই একমাত্র দল যারা এই লড়াই করতে পারে। তাই এই দলে যোগ দিলাম।’’
এই যোগদান নিয়ে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে বুঝতে পেরেছেন যে সর্বসাধারণের জন্য কাজ করে একমাত্র সিপিএম। আর বিজেপি-তৃণমূলের সেটিং আছে। এটা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও মানুষ আমাদের দিকে ফিরবেন। আমরাই তো সারা বছর মানুষের পাশে থাকি।’’ যদিও বিষয়টিতে পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদল। তাদের দাবি, এর ফলে দলের লেশমাত্র ক্ষতি হচ্ছে না। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বরূপ রায়ের কথায়, ‘‘এসব ঘটনা একদমই গুরুত্বহীন। তবে বিস্তারিত ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’