প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ আসন হাত ছাড়া হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের। শুধু তাই নয়, গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে মুর্শিদাবাদ পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কী ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সেই প্রশ্ন উকি মারছে রাজনৈতিক মহলে।
মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ১১টি আসনে জয়লাভ করে মুর্শিদাবাদ পুরসভার দখল নিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে দল ভাঙিয়ে সেই পুরবোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল।
একই ভাবে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার তৎকালীন কংগ্রেসের বিধায়ক শাওনি সিংহরায় দল ছেড়ে শাসকদল তৃণমূলে নাম লেখান। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শাওনি সিংহ রায় বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষের কাছে পরাজিত হন।
সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ডে বিজেপি লিড পেয়েছিল। ফলে এ বারের পুরসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ পুরসভা দখল করা তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের।
গৌরীশঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা পুরভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। পুরভোটের জন্য দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, পাড়া বৈঠক করেছি। বাড়ি বাড়ি ঘোরা শুরু হয়েছে।’’
তাঁর দাবি, ‘‘মুর্শিদাবাদ পুরসভা নির্বাচনে আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাব। গত বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার মানুষ তার প্রমাণও দিয়েছেন।’’
তবে বসে নেই শাসকদল তৃণমূলও। মুর্শিদাবাদ শহর জুড়ে ব্যানার ফেস্টুন দেওয়াল লিখনে তারাই এগিয়ে রয়েছে। মুর্শিদাবাদ শহরের সদরঘাট এলাকা থেকে শুরু করে বাজার সাহানগর, হাটলালবাগ, নেতাজি রোড, বাশগোলা রোড, নসিপুর-সহ গোটা শহরে দেওয়ালে দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে জোড়াফুল। সঙ্গে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদ শহর তৃণমূলের সভাপতি সন্দীপ দত্ত বলেন, ‘‘পাড়া বৈঠক থেকে দেওয়াল লিখন সব কাজ শুরু হয়েছে।’’
মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেসের সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, ‘‘বরাবরই মুর্শিদাবাদ শহরের মানুষ পুরভোটে কংগ্রেসের পাশে থেকেছেন। এছাড়া বর্তমানে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তাই মানুষ আমাদের ক্ষমতায় আনবেন বলে আমরা আশাবাদী।’’