Pradhan Mantri Awas Yojana

নাম বাদ দিলে অনেকেরই  যাবে, দাবি তৃণমূল প্রধানের

চাপড়া ব্লকের বৃত্তিহুদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের সাহিদ আলমের মা সামসুন্নাহার বিবির নামও আছে তালিকায়। তাঁদেরও পাকা বাড়ি।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

নদিয়া শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০৯
Share:

রুইদাস মণ্ডলের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

জিওলগাড়িতে পাকা বাড়ি আছে, আবার আবাস যোজনার তালিকায় নামও আছে দিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূলের রুইদাস মন্ডলের স্ত্রী সোমা মণ্ডলের। এই নিয়ে দলের ভিতরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রুইদাসের দাবি, “যখন নাম তোলা হয়েছিল তখন আমার কাঁচা বাড়ি ছিল। সেই কারণে ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখন আমরা দুই ভাই পাকাবাড়ি তৈরি করেছি। এখন আর আমরা সরকারি ঘর নিতে চাই না বলে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।” এত দিন তিনি কেন সেই আবেদন করেননি, তার কোনও সদুত্তর কিন্তু তিনি দিতে পারেননি।

Advertisement

চাপড়া ব্লকের বৃত্তিহুদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের সাহিদ আলমের মা সামসুন্নাহার বিবির নামও আছে তালিকায়। তাঁদেরও পাকা বাড়ি। সাহিদের বক্তব্য, “তালিকা তৈরির সময়ে আমি পঞ্চায়েত প্রধান বা সদস্য ছিলাম না। আমাদের টিন আর টালির বাড়ি ছিল।” এই পাঁচ বছরে পাকা বাড়ি করার টাকা এল কী করে? সাহিদের দাবি, “আমরা চাষি পরিবার। জমি বিক্রি করে বাড়ি বানিয়েছি।” বিডিও দিনেশ দে নিজে গ্রামে এসে বিষয়টি ধরেছেন। তা হলে, পাকা বাড়ি হওয়ার পরেও কেন সরকারি ধর দরকার নেই বলে জানালেন না? সাহিদের দাবি, “মৌখিক ভাবে মায়ের নাম কাটতে বলে দিয়েছিলাম।”

সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন চাপড়ার পিঁপড়েগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বিউটি মণ্ডল। তাঁর ভাই আব্দুল মান্নান রেশন ডিলার, তাঁদের দোতলা বাড়ি। তাঁর নামও আছে তালিকায়।

Advertisement

বিউটি জানান, ভাইয়ের জন্য ঘরের সুপারিশ তিনিই করেছেন। বিউটি বলেন, “আমার বাবা রেশনের ডিলার ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর ভাই দায়িত্ব পেয়েছে। কিন্তু তালিকা তৈরির সময়ে আমাদের মাটির বাড়ি ছিল।” পাকা বাড়ি হওয়ার পরে নাম বাদ দিতে বললেন না কেন? বিউটিক জবাব, “আমি বাদ দেওয়ার কে? আর বাদ দেবই বা কেন? তেমনটা হলে তো অনেকেরই নাম বাদ যাবে!” তবে সেই তালিকায় কারা আছেন তা তিনি বলতে চাননি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, চাপড়া ব্লকে শাসক দলের আরও অনেক নেতা ও জনপ্রতিনি‌ধির আত্মীয়ের নাম আছে তালিকায়। নাম আছে পঞ্চায়েত সমিতির এক প্রভাবশালী পদাধিকারীর একাধিক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের। তবে চাপড়ার বিডিও দিনেশ দে বলছেন, “যারা যোগ্য নয় তাদের প্রত্যেকের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement