প্রতীকী ছবি।
তোলাবাজির অভিযোগ উঠল নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রামকৃষ্ণ মিশনের সংস্থা ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান সুজন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এসপি-কে জানানো হয়েছে, নবগ্রামের আসনদিঘিতে আমাদের সামাজিক সেবামূলক কাজে স্থানীয় বিধায়ক কানাই মণ্ডলের নাম ভাঙিয়ে তিন জন গুন্ডামি, তোলাবাজি করছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে।’’
নবগ্রামের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাই মণ্ডল বলছেন, ‘‘রামকৃষ্ণ মিশনের সংস্থা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছে। পুলিশ সুপার অভিযোগের তদন্ত করে দেখুন। অভিযোগ সত্য হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’’ কানাইবাবুর দাবি, ‘‘আমরা তোলাবাজি, হুমকিকে প্রশ্রয় দিই না। কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে এ সব করলে ব্যবস্থা নেব। তেমনই কোনও ঘটনা সাজিয়ে কেউ চালাকি করলে আমরা তাঁদেরও ছেড়ে কথা বলব না।’’
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে। আসনদিঘির ওই প্রকল্প সম্পর্কে এবং ওই জমির মালিকানা কার রয়েছে সে বিষয়ে বিডিও-র কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বিডিও-র রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবগ্রামের আসনদিঘিতে ৬২ বিঘা জমিতে থাকা একটি পুকুর-সহ মোট ১১২ বিঘা সরকারি জমি রয়েছে। সেই জমি ও পুকুরকে কেন্দ্র করে উন্নয়নে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। সেই কাজে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মিশনের আওতায় থাকা ধান্য গঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে যুক্ত করা হয়। পুরো প্রকল্পের নোডাল এজেন্সি করা হয় রামকৃষ্ণ মিশনের আওতায় থাকা ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে। পুকুরটি লিজে দেওয়া হয় রামকৃষ্ণ মিশনের আওতায় থাকা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে।
প্রকল্প তৈরি ও জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধও রয়েছে। সেখানে শৌচালয় তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার সেখানে এক দল আদিবাসী অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের নামে ‘পাট্টা দেওয়া’ জমিতে শৌচালয় তৈরি হচ্ছে। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তার পরেই উন্নয়নের কাজ হবে। না হলে সেই কাজ করতে দেবেন না।