—প্রতীকী চিত্র।
শাসক দল সূত্রেই খবর, নেতাদের বার বার হুঁশিয়ারি, বহিষ্কারের হুমকি কাজে এল না মুর্শিদাবাদে। শাসক দল সূত্রেই খবর, ৭৮০ জন তৃণমূল নেতা দলের প্রতীক চেয়েও না পেয়ে জেলায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
একে তো জেলায় এ বার বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধি ঘটেছে, তার উপর অন্তর্কলহে এত জনের নির্দল হিসেবে লড়াই করায় জেলায় শাসক দল অনেকটাই অস্বস্তিতে। জঙ্গিপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান অবশ্য স্পষ্ট জানান, রাজ্য কমিটি জানিয়ে দিয়েছে যাঁরা দলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। কোনও মতেই দলে ফেরানো হবে না তাঁদের।
তৃণমূল জেলায় এ বার মাত্র ২.৭৭ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে সফল হয়েছে। তবে ৭৮টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে লড়াই হচ্ছে সব আসনেই। অথচ ২০১৮ সালে জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ আসনেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দিয়ে বিনা যুদ্ধেই জিতেছিল শাসক দল। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন শাসক দল তৃণমূলকে যথেষ্ট বেগ দেবে তাই নয়, শাসক দলের মধ্যেকার নির্দলীয়দের দাপাদাপি এবং তাদের পিছনে একাধিক তৃণমূল বিধায়কের সমর্থন বাড়তি মাত্রা জুগিয়েছে নির্বাচনী উত্তেজনায়।
এ বার মুর্শিদাবাদে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৫৯৩টি আসনে ১৭১৫৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৪৮টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন ২৮২০ জন। আর ৭৮টি জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী সংখ্যা ৪৩৮ জন। তৃণমূলের মনোনয়ন চেয়ে জমা পড়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৭২৪ জনের। এদের মধ্যে ৪৬০ জন মনোনয়ন তুলে নিলেও রয়ে গিয়েছেন ৬৯৮ জন। এরা প্রতীক জমা দিতে না পারায় নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের প্রতীক চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৯৬৪ জন নেতা। ৭৪৮ আসনে ৭৪৮ জন প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক না পেয়ে নাম প্রত্যাহার করেছেন ১১২ জন। নির্দল লড়ছেন ১০৪ জন তৃণমূল নেতা। তবে জেলা পরিষদে সংখ্যাটা কম। ৭৮ আসনে তৃণমূলের প্রতীক চেয়েছিলেন ৯৬ জন। ১৩ জন নাম প্রত্যাহার করলেও নির্দল হিসেবে দলের বিরুদ্ধে লড়ছেন ৫ জন তৃণমূল নেতা, যাঁরা প্রতীকের জন্য আবেদন করেও পাননি।
এই পরিস্থিতিতে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁদের চেয়ারম্যান করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সব ভার তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ঠিক করবেন কী ভাবে কাকে কাজে লাগাবেন।”