অধীর চৌধুরীকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটের দিন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিজের কেন্দ্র বহরমপুরেই ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। পর দিন অর্থাৎ সোমবারও একই চিত্র দেখা গেল। অধীরকে ঘিরে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের মহিলাকর্মীরা। নিজের গড়ে অধীরকে ঘিরে শেষ কবে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।
সোমবার বহরমপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের হাজারাপাড়ায় ‘বিপদগ্রস্ত’ কংগ্রেসপ্রার্থীর ‘ফোন পেয়ে’ সেখানে গিয়েছিলেন অধীর। এর পর ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সঞ্চিতা ঘোষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ভীষ্মদেব কর্মকারের নেতৃত্বে তৃণমূলের মহিলাকর্মীরা ঝাঁটা হাতে অধীরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী গোপা হালদারকে মারধর করা হয়েছে। গোপার ফোন পেয়েই তাঁর বাড়িতে যাচ্ছিলেন অধীর। পথে তাঁকে ঘেরাও করে তৃণমূলকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কংগ্রেসকর্মীরাই তাঁদের মারধর করেছে।
অধীরের কথায়, ‘‘আমি পার্টি অফিসে বসে। জানিও না কিছু। এক মহিলা আমাকে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। আমাকে মারধর করছে। আমাকে বাঁচান।’ আমি পুলিশকে বলে এসেছি। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি এক জন জনপ্রতিনিধি। দেখতে যাওয়ার অধিকার আমার নেই? কী চলছে বাংলায়! এখানে এসে দেখছি চিৎকার চেঁচামেচি। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এখন ভয় দেখাতে শুরু করেছে। তৃণমূল আমাকে গ্রেফতার করাতে পারে, খুন করে দিতে পারে। কিন্তু আমার অন্যায়টা বলুক? যেমন আনিস খানকে মেরেছেন, তেমন আমাকেও মেরে দিন।’’
অধীরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলপ্রার্থী ভীষ্মদেবের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা অধীর চৌধুরীর নোংরামো মেনে নেব না। অধীরবাবুর পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। তাই উনি বহরমপুরে এসে পড়ে আছেন। অলিগলি ঘুরে নোংরামো করছেন। ওঁর তল্পিবাহকরা আমার দিদিকে মেরেছে। অধীর চৌধুরীর মস্তানি আর বহরমপুর মেনে নেবে না।’’ ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়।