কৃষ্ণনগর স্টেশনে মিছিল বন্ধ সমর্থনকারীদের। মঙ্গলবার সকালে। —নিজস্ব চিত্র।
কৃষ্ণনগরে তরুণীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত চেয়ে এবং রাজ্যে নারী সুরক্ষার দাবিতে তিন ঘণ্টা ‘প্রতীকী বন্ধের’ ডাক দিয়েছিল জেলার একটি স্থানীয় সংগঠন। রাস্তায় বেরোনো মানুষজনের সাময়িক ভোগান্তি হলেও কৃষ্ণনগরে বন্ধের তেমন কোনও ছাপ পড়েনি। মঙ্গলবার সকালে অবশ্য অবরোধের জেরে কিছু ক্ষণের জন্য কৃষ্ণনগর স্টেশনে আটকে পড়ে শিয়ালদহগামী ডাউন কৃষ্ণনগর লোকাল।
দগ্ধ হয়ে মৃত তরুণীর মৃত্যুরহস্য উন্মোচন এবং নারী সুরক্ষার দাবিতে কৃষ্ণনগর শহরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার ‘প্রতীকী বন্ধের’ ডাক দিয়েছিল সংগঠনটি। বন্ধের সমর্থনে সকাল থেকেই পথে নামেন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদের হাতে ছিল গেরুয়া রঙের পতাকা। রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের উপরে বসে পড়েন তাঁরা। তবে কিছু সময় পরেই অবরোধকারীদের উঠিয়ে দেয় পুলিশ।
সংগঠকদের দাবি, কৃষ্ণনগরকাণ্ডে তদন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, নারী সুরক্ষায় উদাসীন প্রশাসন। অবিলম্বে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান তাঁরা।
তবে অবরোধের জেরে মঙ্গলবার সকালে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় যাত্রীদের একাংশকে। নদিয়ার চাপড়া থেকে ব্যবসায়িক কাজে রানাঘাট যাওয়ার জন্য কৃষ্ণনগর স্টেশনে এসেছিলেন সুপ্রতীক সাহা। তিনি বলেন, “বন্ধ শুধু কৃষ্ণনগরে। তাই আমরা কিছুই জানতাম না। অবরোধের জেরে সঠিক সময়ে মার্কেটে পৌঁছতেই পারলাম না।”
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরেই একটি পুজোমণ্ডপের সামনে থেকে এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মুখ পুরো ঝলসে গিয়েছিল। পরিবারের তরফ থেকে প্রথমে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ কিংবা খুনের কোনও উল্লেখ নেই।