রাস্তার বাজার নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু পুরসভার পাকা বাজার ছিল না বলে রাস্তাতেই চলত বিকিকিনি। কিন্তু, বাজার হয়েও সমস্যা মিটল না।
রাস্তার বিক্রেতাদের পাকা বাজারে জায়গা দেওয়া হলেও, বেলডাঙা রেল বাজার সংলগ্ন রাস্তাতে যথারীতি রয়ে গিয়েছে বাজার। অভিযোগ, পুরসভার বাজারে যে সব ব্যবসায়ীকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে, তাঁদের আত্মীয়রাই পুরনো জায়গাতে সব্জি-ফলের পসরা নিয়ে বসছেন। শেষ পর্যন্ত রবিবার তাঁদের তুলে দিল পুরসভা। ভেঙে দেওয়া হয় কয়েকটি বেআইনি দোকান।
জানুয়ারিতে বেলডাঙা রেলবাজার সংলগ্ল এলাকায় স্থায়ী বড় সব্জি-ফল এবং মাছ-মাংসের বাজার চালু করেছে বেলডাঙা পুরসভা। ৭০ জন সব্জি ও মাংস বিক্রেতা রাস্তা থেকে পাকাপাকি ভাবে এই বাজারে উঠে আসেন। কিন্তু এখনও কিছু বিক্রেতা রেল বাজারের রাস্তার দু’পাশে ব্যবসা করছে। যাঁরা পুর-বাজারে উঠে গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাই রাস্তায় বসে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ।
এলাকার দীর্ঘ দিনের সমস্যা ছিল রেল বাজার সংলগ্ন রাস্তায় বসা সব্জি বাজার। বিভিন্ন সময় পুরসভার কাছে সেই বাজার তুলে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছিল। সেই দাবি মাথায় রেখেই, পুরসভা স্থায়ী বাজার তৈরি করেছিল। রাস্তার ব্যবসায়ীদের সেই বাজারে দোকান দেওয়া হয়। কিন্তু, গত এক মাসে বাজারের ছবিতে বিশেষ বদল আসেনি। সেই রাস্তা দখল করে বাজার সমানে চলছিল। তাতে সমস্যা হচ্ছিল পথচারিদের। অভিযোগ আসছিল পুরসভাতেও।
রবিবার বেলডাঙার পুর প্রধান ভরত ঝাওর বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে ওই বাজারে হানা দেন। জনা দশেক ব্যবসায়ীকে নিকাশি নালার উপর থেকে পসরা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। রাস্তা দখল করে বানানো পাঁচটি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। ভরত ঝাওর বলেন, ‘‘এ দিন পুলিশের উপস্থিতিতে কিছু বিক্রেতাকে পসরা সরাতে বলা হয়েছে। রাস্তার দখল করে থাকা কিছু অবৈধ দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’
ব্যবসায়ী দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তা থেকে পুর-বাজারে এসে তাঁদের ব্যবাসার ক্ষতি হচ্ছে। পুরপ্রধান বলছেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্থায়ী জায়গা পেয়ে খুশি। যদি রাস্তায় ফল ও সব্জি এখনও পাওয়া যায়, তা হলে অনেকেই বাজারে ঢুকবেন না। সেই জন্যই এই পদক্ষেপ করা হল।’’