গত সাত দিনে পাঁচটি স্কুলে চুরিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বেলডাঙায়। তবে টাকাপয়সা না নিয়ে প্রতিবারই স্কুলের মিড-ডে মিলের বাসনপত্র চুরি যাওয়ায় কোনও একটি গোষ্ঠী চুরি করছে কি না তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
গত ২২ জুন ভাবতার পণ্ডিত জগন্নাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের প্রয়োজনীয় সামগ্রী চুরি হয়। ১৯ তারিখে চুরি হয় বিনকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারও আগে ১৫ জুন রাতে বেলডাঙার নিশ্চিন্দপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্র, করকাটা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়, বটতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ে চুরি হয়। প্রতিটা স্কুলের মিড-মে মিলের বাসনপত্র খোওয়া গিয়েছে। যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, স্থানীয় মাদকাসক্তরা ওই কাজ করতে পারে। কারণ স্কুলে কোনও দিন বেশি টাকা পয়সা থাকে না। তাই মাদকের টাকা জোগাড় করতে মিড-ডে মিলের বাসনপত্র চুরি করছে তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন সারগাছি, খিদিরপুর, মহুলা, ভাবতা বাজারে চোলাই বিক্রি হয় নিয়মিত। সারগাছির বাসিন্দা দুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সারগাছি মোড়-সহ সংলগ্ন এলাকায় দিনরাত চোলাই মদ-সহ নানা মাদক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা মূলত কম বয়সিরা। হাতে টাকার টান পড়লে এই কমবয়সিরা চুরির পথ বেছে নিচ্ছে।’’ ‘‘যদি পুলিশ প্রশাসন অবৈধ মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তবে মাদক বিক্রি বন্ধ হবে। চুরি কমবে।’’—মত তাঁর।
জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। এর পেছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।