Krishnanagar

নাট্যমেলায় শ্রদ্ধার্ঘ্য বিশিষ্ট কৃষ্ণনাগরিকদের

১৬ থেকে ১৯ মার্চ কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত চার দিনের নাট্যমেলায় মঞ্চস্থ হচ্ছে কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের নিজস্ব ছ’টি ভিন্নধর্মী পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা।

Advertisement

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৬
Share:

নাট্যমেলার সূচনা হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।

সুধীর চক্রবর্তীর মৃত্যু পার হয়েছে দু’বছরেরও বেশি সময়। তবু বাংলার সারস্বত চর্চায় তিনি এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। সাহিত্যিক, লোকসংস্কৃতি গবেষক এবং বাংলা গানের অন্যতম ভাষ্যকার সুধীর চক্রবর্তীর নিজের শহর কৃষ্ণনগরে তিনি এবং আরও পাঁচ বিশিষ্ট জনের স্মৃতিতে উৎসর্গ করা নাট্যমেলার সূচনা হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

Advertisement

কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে চার দিনের নাট্যমেলা আরও যাঁদের স্মৃতিতে উৎসর্গ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন স্থানীয় ইতিহাসের বিশিষ্ট গবেষক এবং নদিয়া বিশেষজ্ঞ মোহিত রায়, কৃষ্ণনগর সিএমএস হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক এবং নাট্যানুরাগী ভবানীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণনগরের অতীত দিনের নাট্যচর্চার অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব অম্বুজ মৌলিক, পাঁচের দশকে নদিয়ার খ্যাতনামা ফুটবলার চাঁদু সেনগুপ্ত এবং শিক্ষাব্রতী আকুলানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৬ থেকে ১৯ মার্চ কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত চার দিনের নাট্যমেলায় মঞ্চস্থ হচ্ছে কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের নিজস্ব ছ’টি ভিন্নধর্মী পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা। বৃহস্পতিবার নাট্যমেলার উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৌতুক নাটক ‘গোড়ায় গলদ’। দীর্ঘ দিন ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে নাটকটি অভিনীত হয়ে চলেছে। শুক্রবার মঞ্চস্থ হবে এরিয়েল ডর্ফম্যান রচিত এবং কাবেরী বসু অনূদিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী নাটক ‘নদীটা।’ শনিবার ১৮ মার্চ দেখা যাবে দু’টি নাটক। প্রথমে সৌমিত্র বসুর কৌতূকনাট্য ‘শনি মঙ্গল।’ পরিচালনা অনুপম চক্রবর্তী। ওই সন্ধ্যায় দ্বিতীয় নাটক কাবেরী বসু আগাথা ক্রিস্টির সাসপেন্স থ্রিলার ‘তোমার কোনও সত্য নেই।’ নাট্যমেলার শেষ দিন ১৯ মার্চ রবিবারও মঞ্চস্থ হবে দু’টি নাটক। রবীন্দ্রনাথ মৈত্রের বিখ্যাত নাটক ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ এবং কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের নবতম প্রযোজনা ‘ভোরের বারান্দা।’ নাট্যমেলার ছ’টি নাটকের মধ্যে পাঁচটি নাটকের নির্দেশনা কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান অভিনেতা কিশোর সেনগুপ্তের।

Advertisement

এই নাট্যমেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, “নাটকে আমার দীক্ষাগুরু কৃষ্ণনগর সিএমএস স্কুলের মাস্টারমশাই ভবানীপ্রসাদ বাবু। স্কুলবেলায় তাঁর হাত ধরেই আমার মঞ্চাভিনয়ের শুরু। তিনি এবং আরও পাঁচ জন বিশিষ্ট কৃষ্ণনাগরিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য আমাদের এই নাট্যমেলা। যা সফল করার জন্য আন্তরিক ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণনগরের অরণি, সিঞ্চন, রূপকথা বা থিয়াসের মতো স্থানীয় নাট্যদলের বন্ধুরা।” নিজস্ব চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement