ক্ষণিকের ঝড়। ডোমকলে বিকেলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম।
মেঘের আনাগোনা দেখে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ভয়ে কুঁকড়ে ছিল মুর্শিদাবাদ। ঝড়ের আভাস পেয়ে দুয়ারে খিল দিয়েছিলেন অনেকেই। গোয়ালের গরু থেকে ছাদের টালি সামাল দিতে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন অনেকেই। তবে সে ঝড় গত বুধবারের স্মৃতি তেমন ফিরিয়ে আনেনি। ঝোড়ে হাওয়ার পরে বৃষ্টি শুরু হলেও তার দাপট তেমন ছিল না। আবহাওয়া দফতর সূত্রেও জানানো হয়েছে, এ নিছকই জৈষ্ঠ্যের সান্ধ্য ঝড়।
এ দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অবশ্য বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে ফারাক্কা, শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতিতে। শিলাবৃষ্টির খবরও মিলেছে বেশ কিছু এলাকা থেকে। ফারাক্কার অর্জুনপুর, বাহাদুরপুর, ইমামনগর, মহেশপুর, বেনিয়াগ্রাম অঞ্চলে দু’দফার ঝড়ে বেশ কিছু বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু বিদ্যুৎবাহী তারের খুঁটিও। দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী না হলেও বিকেলে ডোমকল, জলঙ্গি, রানিনগরের একাংশেও বৃষ্টি হয়েছে। দিন কয়েক আগের ঝড়ে সাগরদিঘির ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টির-ও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। অর্জুনপুর গ্রামের শিবনগরের বাসিন্দা বাগান মালিক বিশ্বজিত দাস বলেন, “আম-লিচুর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এ দিন বিকেলে শিলাবৃষ্টির পরে মনে হয়েছিল সব শেষ হয়ে গেল। তবে পরে দেখেছি তেমন ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’