এক ছাত্রের উপরে যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল আবাসিক স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জ ব্লকে দেবগ্রামের স্টেশন সংলগ্ন এক আবাশিক মিশনে নবম শ্রেণির এক ছাত্র ও তাঁর অভিভাবকেরা এই অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ছাত্রের মেডিক্যাল টেষ্ট করানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হুমায়ুন মুন্সি পালাতক। তাঁর বাড়ি কালীগঞ্জ ব্লকের মির্জাপুরে। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে।
ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ছাত্রটি তার বাড়িতে ফোন করে কেঁদে ফেলে। টেলিফোনেই সে জানায়, শুক্রবার রাতে সে শৌচালয় থেকে ফিরছিল। সেইসময় শিক্ষক হুমায়ুন মুন্সি তাকে নিজের ঘরে শুতে ডাকে। শিক্ষকের কথা অমান্য করতে না-পেরে ছাত্রটি তাই করে। তার পরেই শিক্ষক তার উপরে যৌন নির্যাতন চালান। সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরেন এবং পুলিশকে বা অন্য কাউকে জানালে তার বড় ক্ষতি করে দেবেন বলে শাসান। এই ঘটনা শোনার পর পরিবারের লোকেরা শনিবার সকালে স্কুলে হাজির হন। অভিযুক্ত শিক্ষক তখন থেকেই বেপাত্তা। শনিবার সন্ধায় দেবগ্রাম আরওপিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রের বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দোষীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি করেন তিনি। ঘটনার পরে ওই আবাসিক স্কুলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে অনেক অভিভাবক ভয়ে, দুশ্চিন্তায় ছেলেদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।। তাঁদের মধ্যে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘শিক্ষকদের দায়িত্বে আর ভরসায় ছেলেদের ছেড়ে যাই। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তা হলে আর ভরসা থাকে না। আমরা আতঙ্কিত।’’ স্কুলের প্রধান সাহিদুল রহমান মুন্সি বলেন, ‘‘এই ঘটনাটি এখন বিচারাধীন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, এটা একটা চক্রান্ত। স্কুলের নাম খারাপ করার জন্য এই চক্রান্ত চলছে।’’