প্রধান শিক্ষক অসুস্থ। অনেকদিন ধরেই স্কুলে আসছেন না। সহকারি প্রধান শিক্ষকও ছুটিতে। তার উপরে ৫২ জন শিক্ষকের মধ্যে সোমবার গরহাজির থাকলেন ১৭ জন। আর ছাত্র সংখ্যা হাজার ছয়েক। ফলে জনা তিরিশেক শিক্ষকের পক্ষে অত পড়ুয়াকে সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটা ক্লাসের পরই ছুটি হয়ে গেল ধুলিয়ান হাই মাদ্রাসা।
এতে ক্ষুব্ধ মহাদেবনগর গ্রামের অভিভাবকেরা চড়াও হয়ে এ দিন বিক্ষোভ দেখালেন ওই মাদ্রাসায়। তাদের অভিযোগ, এর আগেই এ ভাবে ক্লাস বন্ধ হয়েছে। লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। দু’বছর ধরে পোশাকের টাকা পাচ্ছে না ছাত্র-ছাত্রীরা। মিড ডে মিলেও গড়মিল রয়েছে।
অভিভাবক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, “বেশির ভাগ দিনই এই মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়।’’ তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক মাদ্রাসায় আসেন না। এ দিন তো আবার ১৭ জন শিক্ষক আসেননি। অফিস ঘরে বসে রয়েছেন বেশির ভাগ শিক্ষক। আর ছাত্র ছাত্রীরা যে যার মত ঘুরছে-ফিরছে।
আর এক অভিভাবক ওবাইদুর রহমান বলেন, “সব জানিয়ে আমরা সহকারি প্রধান শিক্ষককে এ দিন ফোন করি। তিনি জানান, প্রবীণ এক শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে এসেছি। অথচ ওই শিক্ষক বলছেন তাঁকে কেউ দায়িত্ব দেন না।’’ সহকারি প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, “১৭ জন শিক্ষক কেন আসেননি বুঝতে পারছি না।’’ জঙ্গিপুর মহকুমা সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক পঙ্কজ পাল বলেন, “দু’দিন আগে সহকারি প্রধান শিক্ষককে বলেছিলাম প্রধান শিক্ষকের ছুটির হিসেব জমা দিতে। তা না পেলে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ১৭ জন শিক্ষক একই দিনে আসেন নি। এই ডামাডোল চলতে পারে না। শিক্ষক না থাকলে ছাত্ররা ক্লাসে থাকবে কেন। আমি বুধবার ওই হাই মাদ্রাসায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসব।’’
এই চাপানউতোরের মধ্যে হাজার-হাজার পড়ুয়া মিড-ডে মিল ও পঠন-পাঠন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে ক্লাস হচ্ছে না। এতে করে সিলেবাস শেষ হচ্ছে না।’’