সুতপা চৌধুরী। — নিজস্ব চিত্র
ছাত্রী খুনের মামলায় সাক্ষ্য দিতে এ বার বেঙ্গালুরু থেকে বহরমপুর আদালতে আসতে হবে দেশের একটি খ্যাতনামী ই কমার্স সংস্থার কর্তাকে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে খুন হয়েছিলেন বহরমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। সেই মামলায় বহরমপুর আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার জন্য তলব করা হয়েছে ওই সংস্থাটির নোডাল অফিসার রবি কুমারকে।
আগামী ৩ জানুয়ারি সুতপা হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন তলব করা হয়েছে রবিকে। তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই ই কমার্স সংস্থাটি (ফ্লিপকার্ট)-র আঞ্চলিক সদর দফতর বেঙ্গালুরু। সেখান থেকেই বহরমপুর আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসতে হবে নোডাল অফিসারকে। ওই অনলাইন সংস্থাটির মাধ্যমে একটি খেলনা বন্দুক কিনেছিলেন সুতপা খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছিলেন, সুতপাকে খুনের সময় সুশান্ত সেই বন্দুক দেখিয়ে স্থানীয়দের ভয় দেখান। সুশান্তকে গ্রেফতারের পর ওই খেলনা বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বহরমপুর আদালতে সরকারের পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বন্দুকটি যে তাঁদের সংস্থা থেকেই কেনা সেটা আদালতে নিশ্চিত করতেই ওই ই কমার্স সংস্থাটির কর্তাকে বিচারকের সামনে হাজির হতে হবে।’’ আদালত সরকার পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করেছে। তার পর ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি ওই সংস্থাটির কর্তাকে বহরমপুর আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। বিভাস আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের মামলায় এখন ইলেকট্রনিকস্ এভিডেন্স বা বৈদ্যুতিন প্রমাণও, অপরাধ প্রমাণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠছে। যেমন এই মামলায় ‘রাইট ব্লগার’ নামে একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে যার মাধ্যমে, সুতপাকে খুনের সময়কার মোবাইলে তোলা ভিডিয়ো সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে নথি হিসাবে পেশ করা হয়েছে।