দলীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর গত কয়েক মাসে বারবারই শুনিয়ে গিয়েছিলেন আহিরণ থেকে কান্দি দখলের পরিকল্পনা। জানিয়েছিলেন, ‘অপেক্ষা করুন’ একে একে ‘বেলডাঙা, বহরমপুর, এমনকী মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদও শাসকদলের দখলে আসবে।’ সেই তালিকায় এ বার সংযোজন, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা।
রবিবার শুভেন্দু অধিকারী ভোট প্রচারে এসে জিয়াগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর ঘোষণা, ‘‘মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী অসীম ভট্ট জিতলেই পুরসভাটাকে কান্দির মত পাল্টে দেব। যেমন ডেভিডকে নড়ানো গিয়েছে, এ বারের টার্গেটে থাকবে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান সিপিএমের শঙ্কর মণ্ডল।’’ শুভেন্দু জানান, এখানকার একজন রামধনু জোটের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি কাল বড় বড় কথা বলেছেন। তিনি নাকি তাঁকে ফোন করে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাকি তাঁকে ফোন করে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তৃণমূলের এত দুরবস্থা হয়নি যে, শঙ্কর মণ্ডলকে প্রার্থী করতে হবে। পাল্টা শঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘জিয়াগঞ্জে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে মঞ্চে ডেকে শুভেন্দু আমাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেবেন বলে জানান। জোটের চাপে শুভেন্দুবাবু এখন অ্যালজাইমার্স রোগে ভুগছেন। ভোটের পরে আরও ভুল বকবেন।’’
এ দিনের সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁকে দেখতে আশপাশ এলাকার লোকজন সভাস্থলে হাজির হন। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তবে মিনিট দশেকের মধ্যে তাঁরা চলে যেতেই মুহূর্তের মধ্যে ওই ভিড় পাতলা হয়ে যায়।