Molestation

ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে! নদিয়ার স্কুলে বিক্ষোভ

বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক সামিউল হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে নবম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। সুযোগ পেলেই তাদের স্পর্শও করতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১১
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতীকী চিত্র।

নবম শ্রেণির ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার সকাল থেকে অভিভাবকেরা স্কুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে স্কুলে যায় পুলিশ। তাদের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ হয়। ঘটনাটি নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার পলসন্ডা গার্লস হাই স্কুলের।

Advertisement

বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক সামিউল হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে নবম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। সুযোগ পেলেই তাদের স্পর্শও করতেন। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ করার অভিযোগও তুলেছেন অভিভাবকেরা। দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্কুলছাত্রীদেরও। তাদের দাবি, এর আগে প্রধানশিক্ষককে অভিযোগ জানিয়েছিল এক ছাত্রী। সেই সময় অভিযুক্ত শিক্ষককে সতর্ক করে ছেড়ে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার পরেও অভিযুক্ত শিক্ষক একই ঘটনা ঘটিয়ে চলছিলেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের দাবি, এর আগে ছাত্রীরা লজ্জায়, ভয়ে কিছু বলতে না পারলেও সদ্য একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খুলতে থাকে একের পর এক ছাত্রী।

এক নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ‘‘মেয়ের মোবাইলে খারাপ খারাপ ছবি পাঠাতেন ওই শিক্ষক। বেশ কয়েক বার বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। ক্লাসের মধ্যেই খারাপ ভাবে গায়ে হাত দিতেন। পরে শুনছি আমার মেয়ে একা নয়, অনেকের সঙ্গে এ রকম করেছেন তিনি।’’

Advertisement

অস্থায়ী শিক্ষক সামিউলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছেন প্রধানশিক্ষক। বিক্ষোভের পরই তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তমকুমার ঘোষ জানান, স্কুলে বা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement