সটান লাথি পড়ল পেটে

ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও তাঁর চোখে-মুখে এখনও আতঙ্ক লেগে রয়েছে। একটা ট্রমার মধ্যে রয়েছে। যারা দীপাকে মারধর করে, তাঁরা মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে মনে হয়েছে।

Advertisement

রানু সিংহ

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩৭
Share:

বৃহস্পতিবার নার্সদের উপর আক্রমণের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এক সহকর্মী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা দীপা দাসের উপর আক্রমণের কথা মনে পড়তেই শিউরে উঠছি। সংঘটিত আক্রমণের কাছে নিজেকে এবং গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচানোর যে মরিয়া চেষ্টা ছিল, অনুভব করতে পারছি। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও তাঁর চোখে-মুখে এখনও আতঙ্ক লেগে রয়েছে। একটা ট্রমার মধ্যে রয়েছে। যারা দীপাকে মারধর করে, তাঁরা মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে মনে হয়েছে। দীপা অন্তঃসত্ত্বা একজন মহিলা। তার চেয়েও বড় কথা ওই রোগীকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে গিয়েছে শেষ পর্যন্ত, সেই নার্সের গায়ে হাত তুলতে তাঁদের রুচিতে বাধল না, এটা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছি আমরা! এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে হাসপাতালের ভেতরেও আমরা এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। অধিকাংশ সময়েই ডাক্তারদের গাফিলতির জন্য রোগীর পরিবারের রোষে পড়তে হয় অথচ রোগী ও রোগীর পরিবারের যাবতীয় ঝক্কি সামলাতে হয় আমাদেরই। তবে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় চিকিৎসক-ম্যাডাম যদি ওই রোগীর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বোঝাতেন, তাহলে হয়তো দীপার উপরে এ ভাবে আক্রমন নেমে আসত না। উন্মত্ত আক্রমনকারীদের ঠেকাতে জুনিয়র ডাক্তারদের মতো হস্টেল থেকে মোবাইলে সকলকে ডেকে এনে আমরা তো পাল্টা মার দিতে পারি না, তাই এখ হাসপাতালের ডিউটি করতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।

Advertisement

সিনিয়র নার্স, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement