সামশেরগঞ্জে ভাঙন আতঙ্ক। — নিজস্ব চিত্র।
আবার ভাগীরথীর ভাঙন থাবা বসার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের নদী তীরবর্তী এলাকায়। সোমবার সকাল থেকে ভাঙনের জেরে সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জের বেশ কিছুটা এলাকায় নদীবক্ষে চলে গিয়েছে। তার জেরে ছড়িয়েছে আতঙ্কও।
জোয়ারে জেরে সোমবার বৃদ্ধি পেয়েছে গঙ্গার জলস্তর। ফরাক্কা বাঁধের কাছে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। খুলে দেওয়া হয়েছে ফরাক্কা বাঁধের কয়েকটি লকগেটও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে ভাঙন শুরু হয় সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ সাতঘড়িয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই সেখানকার বেশ কিছুটা জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি চললে বহু বাড়ি তলিয়ে যাবে গঙ্গাগর্ভে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিদ্যালয়ে যে অস্থায়ী ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে সেখানে রাখা হয়েছে।
মহম্মদ নাসিরউদ্দিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘প্রতাপগঞ্জ থেকে ধুলিয়ান যাওয়ার রাস্তা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা যে কোনও সময় নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে। এই রাস্তায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে ফুলতলা-জাফরাবাদ এলাকার সঙ্গে কাঁকুরিয়া বাজারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।’’
ভাঙনে ভিটে হারিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা নওয়াজউদ্দিন আব্বাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রতাপগঞ্জ ইতিমধ্যেই প্রায় শেষের দিকে। অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধ না করা হলে সামশেরগঞ্জের বৃহত্তর এলাকা মুর্শিদাবাদের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।’’