—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিন কয়েক আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। সে দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা শোনার পরে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা চোখে জল নিয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান। সেদিন থেকে তাঁরা আর বিদ্যালয়মুখী হননি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানেই চাকরিহারাদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তাঁদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বহরমপুরের হিকমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষক ও এক জন অশিক্ষক কর্মী চাকরি বাতিল হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘চাকরিহারাদের বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। তাই আমরা চাকরিহারা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীকে বিদ্যালয়ে আসার অনুরোধ করেছি।’’
হরিহরপাড়ার চাকরিহারা শিক্ষক রাজর্ষি মণ্ডল বলেছেন, ‘‘আমরা যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছিলাম। অযোগ্যদের সঙ্গে আমাদের চাকরিও বাতিল করা হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমাদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিদ্যালয়ে যেতে চাই না। আমরা যোগ্য শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যেতে চাই। সে জন্য সরকারকে যোগ্য অযোগ্যর তালিকাসহ সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সে সব নিয়ে কিছু বলেননি।’’
বহরমপুরের চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেছেন, ‘‘আমাদের চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। আমার কীভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারি? তবে মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য যে অনুরোধ করেছেন তা আমরা ভেবে দেখেছি।’’
লালগোলার লস্করপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি বিদ্যালয়কে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আবার শিক্ষা দফতরও তাঁদের বিদ্যালয়ে না আসার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। তাই আমরা চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিদ্যালয়ে আসার অনুরোধ করেছি।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে