Crime

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

বেকার যুবক-যুবতীরা ওই নম্বরে ফোন করলেই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কখনও ফর্ম ফিলাপ, কখনও আবার চাকরিতে যোগদানের জন্য পোশাক দেওয়ার নাম করে টাকা চাওয়া হত বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ০৪:৪৪
Share:

ধৃত জয়ন্ত বিশ্বাস ও দীপঙ্কর বাড়ুই। উদ্ধার হওয়া সামগ্রিক। শুক্রবার। কল্যাণীতে।ছবি:সুদেব দাস।

বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে চলছিল আর্থিক প্রতারণা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকেরা বৃহস্পতিবার কুপার্স এলাকাকে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম জয়ন্ত বিশ্বাস ও দীপঙ্কর বাড়ুই। তাদের কাছ থেকে একাধিক ব্যাঙ্কের পাস বই, এটিএম কার্ড, মোবাইল, সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের কল্যাণী আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে অন্য একটি প্রতারণার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোঁজ মেলে কুপার্স পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্ত বিশ্বাস ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীপঙ্কর বাড়ুইয়ের। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে কখনও বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মখালি, কখনও আবার বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে তারা পোস্ট করতো। পোস্টগুলিতে দেওয়া থাকত যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর। বেকার যুবক-যুবতীরা ওই নম্বরে ফোন করলেই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কখনও ফর্ম ফিলাপ, কখনও আবার চাকরিতে যোগদানের জন্য পোশাক দেওয়ার নাম করে টাকা চাওয়া হত বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, শুধু চাকরি দেওয়াই নয়। বাড়ির কাছাকাছি পোস্টিং দেওয়ার জন্যও মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হত। এমনকি চাকরিপ্রার্থীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন নথিপত্র ও নামী সংস্থার প্রতীক ব্যবহার করত ধৃতেরা। প্রতারণা চক্র যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য ঘনঘন মোবাইল নম্বর বদলের পাশাপাশি বেনামে সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। রানাঘাট জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারী এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই কুপার্স শহরে বসে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার কারবার চালিয়ে আসছিল জয়ন্ত ও দীপঙ্কর। তাদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের দুটি চেক বই, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নয়টি পাস বই, দুটি এটিএম কার্ড, নয়টি মোবাইল ও ১৩ টি সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট সগুনা থেকে আন্তঃরাজ্য সাইবার দুষ্কৃতী সৌরভ পালকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তদন্ত নেমে পুলিশ বিহারের জামতাড়ার দুষ্কৃতীদের কায়দায় সৌরভের অপরাধ জগতের অনেক মিল খুঁজে পায়। কুপার্সে গ্রেফতার জয়ন্ত ও দীপঙ্করের সঙ্গে সৌরভের কোনও যোগ আছে কিনা কিংবা এদের মাস্টারমাইন্ড কে তা জানতে তদন্ত করছেন জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম আধিকারিকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement