পথশ্রীর উদ্বোধনে তৃণমূলের মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র।
‘পথশ্রী’ প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে বাজল মাইক। অভিযোগ, তার দাপটে শিকেয় উঠল স্কুলের পড়াশোনা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে বাধ্য হয়ে চার পিরিয়ড শেষ হতেই পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাইয়ে ছুটি দেওয়া হয়। নদিয়ার চকদিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিরহাট এলাকায় কালিরহাট-তারকদাস মেমোরিয়াল হাই স্কুল (এইচএস)-এর ঘটনা। তবে অনুষ্ঠানের আয়োজক স্থানীয় পঞ্চয়েত ও প্রশাসনের কর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, মাইকের শব্দ একেবারেই কম ছিল। স্কুল ছুটি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই অঙ্গ হিসাবে জেলা পরিষদের তরফে চকদিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিরহাট এলাকায় একটি শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি, পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর দেড়টা থেকে। অভিযোগ, মাইক বাজানো শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই।
অনুষ্ঠান যে মাঠে হচ্ছিল তার উল্টো দিকে স্কুলটি। সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য তারস্বরে মাইক বাজানো শুরু হওয়ায় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষক অমিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাধ্য হয়েই আমরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানাই।” প্রধান শিক্ষক অশোককুমার মজুমদার বলেন, ‘‘এত জোরে মাইক বাজছিল যে, ক্লাস নেওয়া যাচ্ছিল না। তাই চতুর্থ পিরিয়ডের পরে বাচ্চাদের মিড ডে মিল খাইয়ে ছুটি দিয়েছি।”
স্থানীয় চকদিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের ইন্দ্রজিৎ দাস অবশ্য দাবি করেন, “আমরা স্কুলের সামনে মাইক বাজাইনি। একটা বক্স ছিল। তাতে শব্দ খুবই কম ছিল। তা ছাড়া, স্কুল আমাদের কিছু জানায়নি।” একই দাবি জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের রিক্তা কুন্ডুরও। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র একটা বক্স বাজানো হয়েছিল, তাও খুবই নিচু স্বরে।” কৃষ্ণনগরের বিডিও পিন্টু ঘরামি বলেন, “স্কুল ছুটির বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়েদেখতে হবে।”