পর্যটন স্থান হিসেবে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ফলে রাজ্য-দেশ তো বটেই মুর্শষিদাবাদের হাজারদুয়ারিতে পর্যটকরা আসেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
ছুটির দিন এবং পর্যটন মরসুমে হাজারদুয়ারি প্যালেসের চতুর্দিকে জমা হয় জঞ্জালের পাহাড়। স্থানীয় পুরসভার পক্ষেও তা পরিষ্কার রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সবেক্ষণ লালবাগের দু’টি স্কুলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল, হাজারদুয়ারি দত্তক নিয়ে তাকে পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব নিক তারা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে নবাব বাহাদুর’স ইনস্টিটিশন এবং লালবাগ সিংহি হাইস্কুল। সরকারি নিয়ম মেনে তারা দত্তক নিয়েছে হাজারদুয়ারিকে। সোমবার মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিনে হাজারদুয়ারি চত্বর পরিচ্ছন্ন করার কাজে নেমে পড়ল স্কুল দু’টির এনসিসি ক্যাডেটরা।
নবাব বাহাদুর’স ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম বলছেন, “আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রস্তাব পেতেই আমরা হাজার দুয়ারি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’’ লালবাগ সিংহি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব ঘোষও বলছেন, “ওদের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ায় আমাদের দু’টি স্কুলকে হাজারদুয়ারি দত্তক দিয়েছে।’’
হাজার দুয়ারি প্যালেসের ডেপুটি সুপারিনন্টেন্ডেন্ট সুনীলকুমার ঝা জানান, ওই দু’টি স্কুলের পড়ুয়ারা পর্যটকদের সচেতন করবে, যাতে যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলেন। একই সঙ্গে তারা ওই এলারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও করবে।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সুপারিনটেনডেন্ট দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে চিঠিতে জানিয়েছেন, এ বছর বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের সময় স্বচ্ছ ভারত অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে। স্কুলের পড়ুয়ারা সেই কাজে এগিয়ে আসায় তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।