প্রয়াত বাবার নামে রবিবার সাগরদিঘিতে সপ্তর্ষির ইফতারের আয়োজন থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
বাবার তৈরি রাজনীতির বাগানে কি পা ফেলতে চাইছেন সুব্রত সাহার পুত্র সপ্তর্ষি সাহা?প্রয়াত বাবার নামে রবিবার সাগরদিঘিতে সপ্তর্ষির ইফতারের আয়োজন থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে সাগরদিঘি বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই ইফতারে অবশ্য সে ভাবে হাজির হলেন না সাংসদ খলিলুর রহমান ছাড়া কোনও রাজনৈতিক নেতাই। এমনকি সুব্রত সাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের বেশির ভাগ স্থানীয় নেতা, কর্মীরাও হাজির হলেন না এই বিশেষ ইফতারে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার ঘটনা কার্যত শাপে বর হয়েছে সুব্রতর পরিবারের কাছে। তাই আগামীতে সাগরদিঘির রাজনীতিতে নিজেকে ভাসিয়ে রাখতেই এই ধরনের ইফতার বা অনুষ্ঠানের আয়োজন ভবিষ্যতেও করবেন সপ্তর্ষি, এমনটাই অনুমান। যেমন ভোটে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেবাশিসের হয়ে প্রচারেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কিন্তু, আমৃত্যু সুব্রত সাহা সাগরদিঘিই শুধু নয়, যাঁকে নিয়ে গোটা রাজ্যে ঘোরাফেরা করেছেন সেই কিসমত আলিকেও দেখা যায়নি সপ্তর্ষির ইফতারের অনুষ্ঠানে। দেখা যায়নি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বেশির ভাগ সদস্যই হাজির ছিলেন না এই অনুষ্ঠানে। পাশেই নবগ্রামে দিনভর উপস্থিত থেকেও অনুষ্ঠানে যাননি জঙ্গিপুরের দলের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল। সুব্রত অনুগত বুথ সভাপতিরাও আসেননি অনেকেই।
চিঠিতে সপ্তর্ষি নিজের পরিচয় দিয়েছেন ‘খোদারবান্দা ’ বলে।