বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
শেষ দিনের প্রচারে বেরিয়ে সাগরিদিঘি থেকে বহিরাগতদের পিটিয়ে বের করে দেওয়ার নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কোনও জনসমর্থন নেই সাগরদিঘিতে। তাই বীরভূম, বর্ধমান, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এনে, ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করে কোনওরকমে জেতার চেষ্টা করতে চাইছে সাগরদিঘিতে। প্রশাসন ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সে ভাবে ব্যবহার করছে না। কিন্তু গণতন্ত্রে এ ভাবে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। জনগণ প্রতিরোধ করবে। জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে। সাগরদিঘিতে প্রচুর সংখ্যায় বহিরাগতদের নিয়ে এসেছে শাসক দল। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশনকে আরও শক্ত হাতে এদের দমন করতে হবে। এদের পিটিয়ে সাগরদিঘি থেকে বের করে দিতে হবে।”
এদিনের প্রচারে সুকান্তবাবু বোখারা ১, বন্যেশ্বর প্রভৃতি অঞ্চলের একাধিক গ্রামে যান। প্রচারের মাঝে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ক্যারামও খেলেন কিছুক্ষণ। সর্বত্র ঘুরলেন কোথাও পায়ে হেঁটে, কোথাও ইভিএম নিয়ে বাড়ি বাড়ি। এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন সাগরদিঘিতে প্রচারে এলেন সুকান্ত।
এ দিন তিনি বলেন, “সাগরদিঘিতে প্রচারে এসে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে তাই নয় লক্ষ্যনীয় বিষয় হল এবারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। হাত মেলাচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস তাই এ বারে সাগরদিঘিতে বিজেপি একটা আশ্চর্য ঘটাবে। এবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সাগরদিঘিতে। বিজেপিও ভাল ভোট পাবে, কংগ্রেসও ভাল ভোট পাবে, ভোট পাবে তৃণমূলও। কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত? কোনওদিনও তা হবে না। কারণ জাতীয় স্তরে আমাদের লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গেই।” এখানে বিজেপির লড়াই পুরনো ভোট ধরে রাখার।