Assault on Police

পুলিশের গায়ে হাত, ‘অস্বস্তি’ শাসকদলে

বুধবার বিকেলে মাটি মাফিয়াদের ১১ টি ট্রাক্টর এবং জেসিবি দিয়ে নদীর পাড় কেটে অবৈধ ভাবে মাটি তোলার কাজ চলছিল।

Advertisement

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩১
Share:
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

রানিতলা, রানিনগর এবং ইসলামপুর থানার সীমান্তের দুর্গম এলাকায় অবাধে মাটি কাটার কারবার চলে দীর্ঘ দিন ধরে, সে কথা জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। অভিযোগ, ওই এলাকার ইটভাটাগুলির সৌজন্যেই মূলত মাটি মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য তৈরি হয়েছে নির্মলচর এলাকার পদ্মার শাখা নদীর পাড় এবং তার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। এ বার সেখানে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।

Advertisement

বুধবার বিকেলে মাটি মাফিয়াদের ১১ টি ট্রাক্টর এবং জেসিবি দিয়ে নদীর পাড় কেটে অবৈধ ভাবে মাটি তোলার কাজ চলছিল। খবর পেয়ে রানিতলা থানার পুলিশ প্রথমে সেখানে পৌঁছালে মাটি মাফিয়ারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। পরবর্তী সময়ে আবারও তারা দলবল গুছিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। সে সময় পুলিশের বড় একটা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোবাইলে ভিডিওগ্রাফি করতে গেলেই দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় পুলিশের উপরে। তাতে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ও দুই পুলিশ কর্মী জখম হন। ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে মোট পাঁচ জনকে।

আর এই পাঁচ জনের মধ্যে আছে ইসলামপুর থানার হুড়শি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা বিবির আত্মীয় সাজেম শেখ। এমনকি ঘটনায় অভিযুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্য ওহিদুল ইসলাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

যদিও তৃণমূল প্রধান সীমা বিবির দাবি, ‘‘ওহিদুল ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল না, বিশেষ কোনও কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি বিষয়টি ভাল ভাবে তদন্ত করে দেখার জন্য। ওই এলাকায় একশ্রেণির মাটি মাফিয়া বাম আমল থেকেই মাটি কেটে আসছে নদীর পাড় থেকে।’’

যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘মা মাটির সরকারের প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে অবৈধ ভাবে মাটি কাটাটা এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের গায়ে হাত তুলেই ভুলটা করে ফেলেছে বেচারারা।"

রানিনগরের বিধায়ক তৃণমূলের সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘মাটি কাটা নিয়ে আমি অনেক দিন থেকেই প্রশাসনকে বলে আসছি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য। এ ধরনের কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সে যে দলের হোক না কেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement