মাঠ নেই, ফুটবলে পা পড়ে না খুদেদের

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কাতলামারি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ মোল্লা। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার নানা বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজাউদ্দিন। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর। সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কাতলামারি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ মোল্লা। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার নানা বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজাউদ্দিন। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৩
Share:

তৈরি হয়েও চালু হল না পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প। ডান দিকে, এমনই বেহাল রাস্তা। — নিজস্ব চিত্র

• বছর পাঁচেক আগে রাস্তা তৈরির সময় জলের পাইপ ফেটে যায়। তার পর থেকে পাশের গ্রাম আড়লপাড়ায় ২ কিমি দূরে জল আনতে যেতে হয়। আর এর ফলে আর্সেনিকযুক্ত জল খেতে হচ্ছে।

Advertisement

সুচিত্রা ঘোষ, মোহনগঞ্জ

আমরা এর আগে পিএইচই’র সঙ্গে কথা বলেছি। আবারও ওই এলাকার জলের পাইপ মেরামতির জন্য জানাব।

Advertisement

• প্রতিশ্রুতির পর বছর দশেক পেরিয়ে গিয়েছে। এখন সজলধারার পরিস্রুত জল পাচ্ছেন না নবিপুর বাজার লাগোয়া পাড়ার বাসিন্দারা। জেলা পরিষদের উদ্যোগে সেই সময় ওই প্রকল্প তৈরি হলেও শুধু বিদ্যুতের সংযোগ না আসায় তা চালু হয়নি।

স্বপন সরকার, নবিপুর

পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই প্রকল্প হয়নি। ফলে বিদ্যুতের বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পরে জেলা পরিষদের ক্ষমতা বদল হওয়ায় আর বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি।

• বাজারে কোনও আলো নেই। ব্যবসায়ী সমিতি আলোর ব্যবস্থা করেছিল। সেটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত আলোর ব্যাবস্থা করলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

দীপক সরকার, নবিপুর

পঞ্চায়েতের কোনও ফান্ডেই তত টাকা নেই যে ওই বাজারে আলোর ব্যবস্থা করবে। তবে পঞ্চায়েত সমিতিকে বিষয়টি জানাব।

• নবিপুর হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি ঘরের একাংশের ছাদ এখনও হয়নি। ফলে বৃষ্টি বাদলায় খুব সমস্যায় পড়ে খুদেরা। শিক্ষা দফতরকে বারবার বলেও কোনও ফল হয়নি। পঞ্চায়েত যদি সুরাহা করতে পারে তা হলে ছাত্রছাত্রীদের বড় উপকার হয়।

সেলিম শেখ, পুরাতন ডিগ্রি

বিষয়টি শিক্ষা দফতরের অধীন। তবুও আমরা প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

• মোহনগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কুপতলা মোড় পযর্ন্ত তিন কিলোমিটার লম্বা রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তায় পড়ে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি এমএসকে ও একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মুন্সিপাড়ার ছেলেমেয়েদের এই রাস্তা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকা করার জন্য বহু বার দরবার করেও ফল হয়নি।

রেজাউল ইসলাম, মুন্সিপাড়া

রাস্তা পাকা করার মতো টাকা পঞ্চায়েতের নেই। আমরা ওই রাস্তাটি কয়েকবার সংস্কার করেছি। তবে বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানাব।

• পুরাতন ডিগ্রি থেকে আড়লপাড়া ইদ ময়দান প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা হওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। গোটা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পাথর। তাতে গাড়ির টায়ার দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। টায়ার থেকে পাথর ছুটে জখমও হচ্ছেন অনেকে।

মুকুল শেখ, পুরাতন ডিগ্রি

জেলা পরিষদ বছর কয়েক আগে ওই রাস্তার কাজ শুরু করেও কেন যে ফেলে রেখেছে বলতে পারব না। আমরা বার কয়েক মানুষের সমস্যার কথা বলেছি জেলা পরিষদে। কিন্তু কেউ কান দেননি।

• এলাকায় প্রচুর সব্জির চাষ হলেও তা বিক্রির বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ফলে চাষিরা যর্থার্থ দাম পান না।

সবুর মণ্ডল, মুন্সিপাড়া

কৃষক বাজারের জন্য আমরা আবেদন করেছি। আর সংরক্ষণের জন্য এলাকায় হিমঘরের আবেদন দীর্ঘ দিনের। কিন্তু কোনটাই হয়নি। আবারও আবেদন করব।

• এলাকায় প্রচুর তিন ফসলি জমি আছে। কিন্তু সেচের অভাবে ভাল চাষ হয় না। এই এলাকায় একটি ডিপ-টিউবয়েল হলে খুব ভাল হয়।

হান্নান মোল্লা, নবিরপাড়া

এলাকার সাধারণ মানুষের মতো এটা আমারও দাবি, এই এলাকায় প্রচুর সব্জি চাষও হয়। কিন্তু সেচের খরচ বেশি হওয়ার ফলে লাভ অনেক কম হয়। আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব ডিপ টিউবয়েল তৈরি করার জন্য।

• এলাকার প্রধান জীবিকা গোপালন। এই এলাকার দুধ থেকে ক্ষীর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। কিন্তু এগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। কোনও চিলিং প্ল্যান্টও নেই এলাকায়।

সুবল ঘোষ, মোহনগঞ্জ

মহকুমার দুধের ভাণ্ডার মোহনগঞ্জ। অথচ সেখানে দুধ সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা প্রাণি সম্পদ দফতরের সঙ্গে কথা বলে এলাকায় অন্তত একটা চিলিং পয়েন্ট করার আবেদন জানাব।

• কাতলামারি এলাকায় ভাল খেলার মাঠ নেই। স্কুলের মাঠ থাকলেও খুব ছোট। ফলে ভাল ফুটবল দল থাকলেও অনুশীলনের অভাবে খেলতে পারে না। বাচ্চারাও খেলাধুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বাবু ইসলাম, কাতলামারি

খেলার মাঠের অভাব আছে আমাদের এলাকায়। আর আগামীতে কোনও যায়গা পাওয়া গেলে আমরা উদ্যোগ নেব।

• একে সীমান্তের এলাকায় কাজ নেই। তার পরে ১০০ দিনের কাজ করেও কোনও টাকা পাচ্ছি না।

তাহিরুদ্দিন মণ্ডল, অড়লপাড়া

ওই বিষয়টি নিয়ে আমরাও খুব বিপাকে। এলাকার উন্নয়ন প্রায় স্তব্ধ। এখন আবেদন নিবেদন চলছে। আশা করছি সমাধান সূত্র মিলবে।

• ভোরবেলা বা সন্ধ্যায় মাছ ধরতে দেয় না বিএসএফ। ফলে মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর একটা সমাধান দরকার।

তরুণকুমার সাহা, গুড়িপাড়া

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ফলে এ নিয়ে আমাদেরও কিছু করার নেই। তবুও মৎস্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে বিএসএফকে বলব যদি মাছ ধরার সময়টা যদি বাড়ানো যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement