নকল করছিলেন ছাত্রীরা। কিন্তু তা ধরার ‘অপরাধে’ শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এক দল ছাত্র। শুধু তাই নয়, তাঁর গাড়িতেও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। শনিবারের ঘটনা।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ এবং কৃষ্ণনগর উইমেনস কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্র শান্তিপুর কলেজ। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে খবর আসে যে, কলেজের শৌচাগার থেকে ‘নকল’ সরবরাহ করা হচ্ছে। খবর পেয়েই তিনি শৌচাগারের সামনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করাতে থাকেন। সেই সময় তিন জনের কাছ থেকে কাগজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে এক জন আবার অধ্যক্ষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সেই সময় চন্দ্রিমাদেবী তাকে টানতে টানতে তাঁর ঘরে নিয়ে যান। তাঁর নির্দেশে সেই পরীক্ষার্থীর খাতা জমা নিয়ে নেওয়া হয়। তিনি আর পরীক্ষা দিতে পারেননি। সব কিছু মিটে যাওয়ার পরে চন্দ্রিমাদেবী নিজের ঘরে এসে বসেছিলেন।
তার কিছুক্ষেণের মধ্যেই কলেজের বেশ কয়েক জন ছাত্র এসে তাঁর ঘরে চড়াও হয়ে গালিগালাজ শুরু করে। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “কয়েক দিন ধরেই খবর পাচ্ছিলাম যে, নকল সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই মত আজ গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলি। সেটাই হল আমার অপরাধ। তার জন্য আমার উপরে চড়াও হল ওরা।”
তবে অধ্যক্ষ নির্দিষ্ট কারও বিরদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে রাজি নন। যদিও ছাত্র সংসদের তরফে সহ সাধারণ সম্পাদক, টিএমসিপির ফিরোজ আলি শেখ বলেছেন, “এই কলেজে এখনও বহিরাগতরা ঢোকে। তারাই এমনটা করে থাকতে পারে।”