—প্রতীকী চিত্র।
বহরমপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ দত্ত খুনের ঘটনায় কি কোনও ‘বড় মাথা’ জড়িত আছে? বহরমপুরে এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি কোনও ‘বড় মাথা’ সুপারি কিলার লাগিয়ে প্রদীপ দত্তকে খুন করিয়েছে, সেই প্রশ্নও জোরালো হচ্ছে বহরমপুর।
কারণ প্রদীপ দত্ত খুনে সরাসরি জড়িতদের পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলেও খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুবাই দাস নামে বহরমপুর পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রাধারঘাটের বাসিন্দা বুবাই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রেরই খবর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রদীপ দত্তের উপরে নজরদারি চালানোর জন্যই বুবাইকে ওই দুই খুনি নিয়োগ করেছিল।
শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, তার বিনিময়ে খুনিরা বুবাইকে এক লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল। তবে ‘অপারেশন’ শেষে বুবাইকে তারা টাকা দিতে চেয়েছিল। তার আগেই শুক্রবার বুবাই পুলিশের জালে ধরা পড়ে। ফলে এই খুনের ঘটনায় নজরদারি চালানোর জন্য যে ভাবে টাকা দিয়ে লোক নিয়োগ করা হয়েছিল তাতে এই খুনের পিছনে ‘বড় মাথা’ থাকার তত্ত্ব ক্রমে জোরালো হচ্ছে।
তবে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বুবাই দাস নামে এক জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই যুবক প্রদীপ দত্তের বিষয়ে খুনিদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। আর এই তথ্য দেওয়ার জন্যই ওই যুবককে খুনিরা এক লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল। তবে সেই টাকা লেনদেন হওয়ার আগে এই যুবক গ্রেফতার হয়েছে। তবে এই খুনের পিছনে আর কোনও বড় মাথা আছে কি না, তা গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্তরা ধরা না পড়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত গ্রেফতার হবে।’’
গত বুধবার ভোরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বহরমপুরের রাধারঘাট নাথপাড়ায় দুই দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় বহরমপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রদীপ দত্তের। তিনি অন্য ব্যবসার পাশাপাশি জমি জায়গা এবং প্রোমোটারির ব্যবসা করতেন। বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে তিনি দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন। দু’জন দুষ্কৃতী একটি মোটরবাইকে করে এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, জমি জায়গা ও ব্যবসায়িক কারণে খুন হতে পারেন প্রদীপ দত্ত। তাঁকে সরাসরি গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত দুই খুনির পরিচয়ও পুলিশ জানতে পেরেছে। শীঘ্রই তারা গ্রেফতার হবে বলে পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন। এ জন্য ডিএসপি(ডিঅ্যান্ডটি) সুশান্ত রাজবংশী এবং বহরমপুরের আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে ৬ জনের একটি দলও গঠন করা হয়েছে।
বহরমপুরের মানুষ বলছেন, শহরের আশেপাশে জমির দাম বেড়েছে। তা থেকেই বিবাদও বাড়ছে।