Sagardighi

সাগরদিঘিতে বাড়ি থেকে কংগ্রেস নেতাকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস-বাম

শনিবার থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দুপুরেই ঘটনাস্থলে আসতে পারেন সাংসদ অধীর চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৯
Share:

থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কংগ্রেস এবং বামেদের। অভিযোগ, প্রাক্তন যুব কংগ্রেসের সভাপতি সহিদুল রহমানকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

সাগরদিঘির কংগ্রেসের প্রাক্তন যুব সভাপতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করলেন কংগ্রেস এবং বাম কর্মী সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সহিদুল রহমানকে আচমকা তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রথমে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু কী অভিযোগ, তা না জানিয়েই কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই থানা ঘেরাও করে রেখেছেন বাম-কংগ্রেস কর্মীরা।

সহিদুলের পরিবারের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে তাঁদের বাড়িতে যায় পুলিশ। তার পর এই গ্রেফতারির ঘটনা। এর পর শনিবার থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দুপুরেই ঘটনাস্থলে আসতে পারেন সাংসদ অধীর চৌধুরী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, উপনির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের ভয় দেখাতেই পুলিশ এই পদক্ষেপ করেছে। শাসকদলের নির্দেশে কাজ করছে পুলিশ। এ নিয়ে বাইরন বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে বাম কংগ্রেসের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। তাই নোংরা চক্রান্ত করে পুলিশ দিয়ে ভোটে জিততে চাইছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।’’

Advertisement

যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। সেই কাজ করতে গিয়ে তারা কী করবে সে বিষয়ে আমরা খবরদারি করতে চাই না।’’

ঘটনাস্থলে এসে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই পুলিশকে ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতি করছে। আমি কোনও সমঝোতা করতে আসিনি। প্রতিবাদ করতে এসেছি।’’

কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারির নিন্দা করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তিনি বলেন, ‘‘সাইদুল শুক্রবার সাগরদিঘিতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সভা পরিচালনা করেছিলেন। সেই ক্ষোভে পুলিশকে দিয়ে তৃণমূল ওঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement