কলকাতার সভায় অমিত শাহ।—ছবি পিটিআই।
কলকাতায় অমিত শাহের সভায় নদিয়া থেকে মতুয়াদের উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপি নেতাদের দাবি, এ দিন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা থেকে যত জন অমিত শাহের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের সিংহভাগই মতুয়া সম্প্রাদায়ের লোকজন। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল। তাঁদের পাল্টা দাবি, মতুয়ারা আগের থেকে অনেক কম সংখ্যায় অমিত শাহের সভায় উপস্থিত থেকেছেন।
নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁদের এলাকা থেকে প্রায় হাজার দশেক মানুষ অমিত শাহ-র সভায় গিয়েছিলেন। এঁদের সিংহভাগ মতুয়া বলেই তাঁদের দাবি। এই এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা মূলত ট্রেনে করে কলকাতায় গিয়েছেন।
নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তীর কথায়, “আমাদের সাংগঠনিক জেলার এলাকা থেকে প্রায় দশ হাজারের মতো কর্মী-সমর্থক অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন। যাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিলেন মতুয়া।” তিনি বলেন, “বাসে করে গেলে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। আটকে দেয়। তাই আমরা এ বার ঠিক করেছিলাম যে, ট্রেনে করেই যাব।”
নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তেমন বসবাস করেন না। তেহট্টের কিছু এলাকায় মতুয়ারা থাকলেও তাঁদের মধ্যে থেকে সে ভাবে অমিত শাহের সভায় কেউ যাননি বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, হাতে গোনা কিছু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এ দিন বাসে করে নিজেদের মতো করে কলকাতায় গিয়েছেন। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার নেতাদের দাবি, ট্রেন ও বাস মিলিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার বিজেপি কর্মী অমিত শাহের সভায় গিয়েছেন। করিমপুর, তেহট্ট, পলাশিপাড়া এলাকা থেকে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক বাসে করে গেলেও সিংহভাগ যান ট্রেনে করে।
নদিয়া জেলায় মতুয়াদের বিজেপিপন্থী অংশের নেতা মুকুটমনি অধিকারী বলেন, “যাঁরা অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন তাঁদের সিংহভাগই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ মতুয়ারা বুঝতে পারছেন, একমাত্র মোদি সরকারই তাঁদের ভারতের স্থায়ী নাগরিকত্ব দিতে চলেছে।” এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূলের লোকজন। জেলায় মতুয়াদের তৃণমূলপন্থী অংশের নেতা প্রমথ রঞ্জন বসু-র দাবি, “বিজেপি আসলে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া কথা বলছে। কারণ, মতুয়ারা সে ভাবে অমিত শাহের সভায় যাননি। তাঁরা বুঝতে পারছেন তাদের কী বিরাট সর্বনাশ করতে চলেছেন অমিত শাহরা।”