ফাইল চিত্র
‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’কে (মিম) সভা করার অনুমতি দিল না জেলা প্রশাসন। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মিম তাদের শীর্ষনেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসিকে মুর্শিদাবাদে নিয়ে এসে প্রকাশ্য সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে শনিবার দুপুরে সাগরদিঘিতে ‘ইন্ডোর সভা’ করে যোগদান কর্মসূচির তোড়জোড় শুরু করেছিল সংগঠনটি। তবে, বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার রাতেই মিম-এর জেলা নেতাদের থানায় ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুমতি ছাড়া সভা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে সভা স্থগিত হয়।
বছর কয়েক ধরেই ‘মিম’ তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল মুর্শিদাবাদে। সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে সাফল্য আসতেই সংখ্যালঘু প্রভাবিত জেলা মুর্শিদাবাদকে ‘পাখির চোখ’ করেছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। ইতিমধ্যে জেলার ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সভা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মিমের জেলা নেতা আসাদুল শেখের দাবি, ‘‘আমরা তো ইন্ডোর কর্মসূচির জন্য সভা করতে চেয়েছিলাম। তার জন্য আবার অনুমতি লাগে নাকি! তাই স্থানীয় পুলিশকে কিছু জানাইনি। তা সত্ত্বেও পুলিশের শাসানি শুনতে হল।’’ যদিও জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শাসানির অভিযোগ ঠিক নয়। অনুমতি ছাড়া শুধু মিম নয়, কাউকেই সভা করতে দেওয়া হবে না। সেটা মিমে’র নেতাদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
তবে তাদের এই তৎপরতার মাঝেই মিমের এক জেলা নেতা তাঁর অনুগামীদের নিয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যার জেরে জেলায় ‘মিম’ ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। মিমে’র জেলা নেতা আসাদুল শেখ বলেন, ‘‘দু-একজন বুথস্তরের নেতা-কর্মী শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১৮টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, নবগ্রাম, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর আসন নিয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’বিধানসভা নির্বাচনের এখনও কয়েক মাস দেরি রয়েছে। তবে মিম’কে নিয়ে এখন থেকেই মাথাব্যথা রয়েছে শাসকদল তৃণমূলের। গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে শুরু করে কান্দি, জঙ্গিপুর বা ভগবানগোলার সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী নাম না করে মিমে’র সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘‘হায়দরাবাদের একটি দল ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে জেলায় ঘুরছে।’’