Jhargram

অভিমান করে বান্ধবীর হাত ধরে দিঘায়! মোবাইলের সূত্র ধরে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরের দু’টি পরিবার ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে আসে। দুই পরিবারের লোকজন জানান, তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ২২:৩১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বাড়ির লোকের কাছে বকুনি খেয়ে বান্ধবীর কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেছিল নাবালিকা। সে-ও তার দুঃখের কথা জানায়। দুই নাবালিকা স্থির করে আর বাড়িতে থাকবে না তারা। তাই ঝাড়গ্রাম ছেড়ে সোজা দিঘা চলে গিয়েছিল দুই নাবালিকা। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই নাবালিকাকে খুঁজে বার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরের দুটি পরিবার ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে আসে। দুই পরিবারের লোকজন জানান, তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ। জানা যায়, নিখোঁজ দুই নাবালিকাই একে অন্যের পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তা ছাড়া দু’জনেই বাড়িতে কোনও কারণে বকুনি খেয়েছিল। পুলিশের অনুমান ছিল, বয়ঃসন্ধিসুলভ অভিমানে বাড়ি ছেড়েছে দুই বন্ধু। তাই অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খোঁজখবর শুরু করে তারা।

অন্য দিকে, এক নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যায়। তার পরেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান সবাই। শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু পরিচিত, আত্মীয়স্বজন কারও কাছে মেয়ের কোনও খোঁজ-না পেয়ে ওই দিন রাত ১০টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। মোট দু’টি নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ঝাড়গ্রাম থানার আইসির নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে দুই নাবালিকার পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়েই খোঁজ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত একই জায়গায় পাওয়া যায় দুই নাবালিকাকে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বান্ধবীর কাছেই মোবাইল ছিল। তার টাওয়ার লোকেশন প্রথমে পাওয়া যায় খড়্গপুর স্টেশনে। সেখান থেকে আবার টাওয়ার লোকেশন মেলে দিঘায়। শুক্রবার পুলিশের একটি দল দিঘার একটি জায়গা থেকে দুই নাবালিকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবারই শিশুকল্যাণ কমিটির মাধ্যমে দু’জনকে একটি সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, তাঁদের অনুমান সঠিক ছিল। তিনি বলেন, ‘‘দুই নাবালিকা বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে গিয়েছিল। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে দু’জনকে দিঘা থেকে উদ্ধার করা হয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement