প্রতীকী ছবি।
আধ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দরজা বন্ধ করে খতিয়ে দেখা চলছে সিসিটিভি ফুটেজ। বাইরে তখন অপেক্ষায় জনা ত্রিশেক উৎসাহী। মাঝখানে গলদঘর্ম অবস্থায় এক জন বেরিয়ে এলেও মুখে কুলুপ। এর মধ্যেই হঠাৎ ফোন! দল বেঁধে ছুটল উৎসাহী জনতা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই খবর পৌঁছল, অবশেষে পাওয়া গেছে চুরি যাওয়া বাইক। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সিসিটিভি পরীক্ষকেরা। সিসিটিভির ফুটেজে শনাক্ত হওয়ার ভয়ে চুরির জায়গা থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে কেউ রেখে গিয়েছেন বাইকটি। কিছু ক্ষণ বাদেই টেকনিশিয়ান জানালেন, সিসিটিভিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিগত তিন দিন থেকে রেকর্ড হয়নি এক মিনিটও। খারাপ সিসিটিভির আতঙ্কে চোরের বাইক ফেরত দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার নাগাদি বাজার থেকে চুরি যায় একটি মোটরবাইক। অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি বাজারের যে দোকানগুলিতে সিসিটিভি রয়েছে, সেখানকার ফুটেজ সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েন গাড়ির মালিক। বাইকের মালিক খোঁজ পান একটি সিসিটিভির ফুটেজে রেকর্ড হতে পারে বাইক চুরির দৃশ্য। তৎক্ষণাৎ তিনিই তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয় সেই দোকানে এসে পৌঁছন। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতে গিয়ে দোকানদার দেখেন, বিগত তিনদিন ধরে রেকর্ড হয়নি একটি মিনিটও। বাইকের মালিক এই কথাটি কাউকে না জানাতে নিষেধ করেন। বাইরে চাউর হয়ে যায়, ওই সিসিটিভির সূত্র ধরে শনাক্ত করা গিয়েছে বাইক চোরকে। খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে বাইকের খোঁজ মেলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানের মালিক বলেন, ‘‘সিসিটিভি খুলতেই দেখি ফুটেজ উধাও। কিন্তু ব্যাপারটা কাউকে জানতে দিইনি। উল্টে রটিয়ে দিই যে, চোরকে চিনতে পেরে পারা গিয়েছে। হাতে হাতে সুফল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার বাইক।’’
বাইক ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি মালিক সারিফুল ইসলাম। অবশ্য এসব সিসিটিভির ব্যাপারে একটি শব্দ খরচ করতে রাজি নয়। তাঁর দাবি, ‘‘বাইক যখন ফেরত পেয়েছি আর চোরকে নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। সিসিটিভির ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’’