গ্রেফতার দুই প্রতারক। নিজস্ব চিত্র।
রানাঘাট শহরের রেলের পূর্ব পাড়ে থাকা নাসরা, কুপার্স, সিআরই এলাকা ক্রমশ কি বিহারের জামতাড়া গ্যাং হয়ে উঠছে? চলতি অগস্ট মাসের ১৮ দিনে শুধুমাত্র এই এলাকা থেকেই ফোনে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানা।
গত শনিবার রাতেও দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম জানা গিয়েছে, রাহুল হাজরা ও বিল্টু হালদার। বাড়ি রানাঘাট থানার নাসরা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, এটিএম কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাসবই উদ্ধার হয়েছে। রবিবার তাদের কল্যাণী আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অনলাইন প্রতারণা চক্র হোক কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে গ্রাহকদের ফোন করে তথ্য জেনে পরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো জালিয়াতিতে সিদ্ধহস্ত বিহারের জামতারা গ্যাং। নানা ভাবে প্রচার ও ব্যাঙ্কগুলির সতর্কতায় এখন গ্রাহকদের ফোন করে সহজে তথ্য হাতানো যায় না। যে কারণে বদলে গিয়েছে অপরাধের ধরন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে শুরু হয়েছে আর্থিক প্রতারণা। সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া থাকছে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর। ওই নম্বরে ফোন করলেই অপর প্রান্ত থেকে কখনও ফর্ম-ফিলআপ, কখনও আবার চাকরিতে যোগদানের জন্য পোশাক দেওয়ার নাম করে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত ৩ অগস্ট সগুনা থেকে অন্তঃরাজ্য সাইবার-দুষ্কৃতী সৌরভ পালকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সৌরভ মূলত বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা বা ব্যাঙ্কের থেকে বলছে জানিয়ে বিভিন্ন নম্বরে ফোন করত, এমনটাই অভিযোগ। গত ৯ অগস্ট কুপার্স থেকে আরও দুই ও ১১ অগস্ট কুপার্স শহরের কাছে সিআরই এলাকা থেকে তিন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।