অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন তাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। সদ্যপ্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান পার্থপ্রতিম দে জানান, প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটের সভায় যেতে পারেননি। পরে অভিষেকের নির্দেশ মতো জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন।
মহানালা গ্রামের তফসিলি জনজাতি অধ্যুষিত ধনিচাপাড়ার অনুন্নয়ন নিয়ে জনসভায় সরব হন অভিষেক। গ্রাম পরিদর্শনে না যাওয়া নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘ধনিচা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেখা নেই। তিনি চার বছর এখানে নেই। নাম পার্থপ্রতিম দে।’’ এর পরেই দলের শীর্ষ নেতার কড়া নির্দেশ, ‘‘প্রধানকে বলব, কান খুলে শুনে রাখুন। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই আপনি প্রধান। মানুষ সার্টিফিকেট না দিলে আপনি প্রধান নন।’’ এর পরেই সোমবার সকালের মধ্যে প্রধানকে ইস্তফা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক। তার পরেই পার্থপ্রতিম জানিয়েছিলেন, তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন।
কবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেন পার্থপ্রতিম। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো এখন দলের আপদ। তাই যত তাড়াতাড়ি আপদ দূর হয়, দল বিপদমুক্ত হবে। অভিষেক নতুন তৃণমূল করছেন। আমরা তো পুরনো তৃণমূল, তাই জায়গা না পাওয়াই স্বাভাবিক। অভিষেক না জানলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে চেনেন। দল করতে গিয়ে নিজস্ব ব্যবসা নষ্ট করেছি। মানুষের শত্রু হয়েছি। আজ আফসোস হচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিষেককে ভুল বুঝিয়েছেন। কোনও দিন দলের বিরোধিতা করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। অনুগত সৈনিক হিসেবেই দলের নির্দেশ মেনে চলব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মতো করে দল চালান। আমার তাতে কী বলার আছে!’’
ইস্তফা প্রসঙ্গে তাতলা-১ পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দে পরে বলেন, ”প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য দলীয় সভায় যেতে পারিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করি। সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটে ইস্তফা দিয়েছি।”