গুলি চলার পরে। নিজস্ব চিত্র
আবারও সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোমা গুলি চলল ডোমকলে। মৃত্যু হল আফজাল শেখ (৪০) নামের এক যুবকের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকল থানার বাবলাবোনা মাঠপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফজালের বাড়ি ডোমকলের মেহেদীপাড়া এলাকায়। ওই ঘটনায় জখম হয়েছে আরও দু’জন। জখমরা ডোমকল মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, দিন দু’য়েক আগের সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ দিন বচসার শুরু হয়েছিল। প্রথমে হাতাহাতি থেকে লাঠালাঠি চললেও পরে বোমা ও গুলিও চলে। আর তাতেই মৃত্যু হয় এক জনের। ঘটনার পর পুলিশ আজিজ শেখ ও তার ছেলে রাজ্জাক শেখ সহ অবেদ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে ওটা ঘটনার তদন্ত চলছে, এলাকায় পুলিশি টহলদারিও চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দু’য়েক আগে ডোমকল পুরসভার বাবলাবোনা মাঠপাড়া এলাকার আজিজ শেখ রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। সে সময় তার প্রতিবেশী অবেদ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনও কারণ ছাড়াই আজিজের গলায় হাঁসুয়া ধরে গালাগালি শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজিজ ও তাঁর ছেলেরা আবেদকে মারধর করেলে তা নিয়ে দুই প্রতিবেশী পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অবেদের হয়ে আজিজের বাড়ির সামনে হাজির হয় অবেদের ভাই সাবিদুল মণ্ডল সহ তার জনা কয়েক বন্ধু। সে সময় বচসা থেকে ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে আজিজ ও তার ছেলেরা লাঠি বোমা গুলি নিয়ে চড়াও হয় তাদের ওপরে। আর তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আফজাল হোসেনের। এ ছাড়াও বোমা লাঠির ঘায়ে জখম হয় অবেদের ভাই সাবিদুল ও মেহেরুল শেখ। জখম তিন জনকে ডোমকল মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে আফজালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকিদের মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় রাতেই অভেদ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় উত্তেজনা তৈরি করে এলাকায় এর আগেও তাকে কয়েক বার গ্রেফতার করা হলেও জামিনে মুক্ত হয় সে। ফলে এই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে অবেদের উপরেই। মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের দাবি অবিদ এ ভাবে ডেকে না আনলে বেঘোরে প্রাণ যেত না আফজালের। অন্যদিকে এই ঘটনার পরে শহর লাগোয়া এলাকায় বোমা গুলির মজুত নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে। পুলিশ ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে চলছে টহলদারি।