COVID-19

খুলছে অফিস-কাছারি

প্রশাসন সূত্রে খবর, ১ জুন থেকে লকডাউন অনেকটাই হালকা করে দেওয়া হয়েছিল। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘোষণা আগেই হয়েছিল। সেই মতো আজ থেকে খুলে যাচ্ছে শপিংমলের মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। খুলে যাচ্ছে হোটেল, রেস্তরাঁ।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, ১ জুন থেকে লকডাউন অনেকটাই হালকা করে দেওয়া হয়েছিল। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ, সোমবার থেকে নতুন করে শপিং মল ও হোটেল, রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খোলা হবে সরকারি ও বেসরকারি দফতর। খোলা হবে আদালত।

আইনজীবীদের সংগঠন সূত্রে খবর, আদালত খোলা থাকবে ৮, ১২, ১৫,১৭ ও ১৯ জুন। পরে হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে সেই মতো আদালত খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, শপিংমল ও মার্কেট কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, মাস্ক ছাড়া কোনও সামগ্রী বিক্রি করা যাবে না। রাখতে হবে স্যানিটাইজ়ার। রক্ষা করতে হবে পারস্পরিক দূরত্ব। হোটেল রেস্তরাঁয় দুই মিটারের দূরত্ব মেনে বসার ব্যবস্থা করতে হবে।

একই ভাবে সরকারি অফিসেও নির্দিষ্ট দূরত্ব রক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহে তিন দিন করে দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে কর্মীদের। কোন দিন কোন কর্মীকে উপস্থিত থাকতে হবে সেটা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। সেই মতো তৈরি হবে ‘ডিউটি রোস্টার’।

জেলার এক কর্তার কথায়, “যখন যে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে সেই তখন সেই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ডাকা হবে। এতে ৭০ শতাংশ কর্মীকেই উপস্থিত হতে হবে না।” কিন্তু পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করা হবে কি করে? কর্তাদের কথায়, “প্রতিটা কর্মীর জন্য আলাদা টেবিল থাকে। একটা থেকে আর একটা টেবিলের দূরত্ব অনেকটাই। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন। তাই সকলেই নিজের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সচেতন থাকবেন।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, বেসরকারি ক্ষেত্রে কতজন কর্মী উপস্থিত থাকবেন সেটা ঠিক করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম--এর জন্য উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে। বৃদ্ধ, অসুস্থ্য, ১০ বছরের কম শিশুদের খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে।

জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “যেমন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে। করোনা মোকাবিলায় যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন সবটাই করা হবে। পারস্পরিক দূরত্ব যাতে সব রকম ভাবে রক্ষা করা হয় সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।” অনেক আগে থেকে জেলায় বাস চলাচল শুরু হলেও যাত্রীর অভাবে দু-তিনটের বেশি বাস রাস্তায় নামছিল না। আজ থেকে সেই সংখ্যাটা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাস মালিকেরা। নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কুণাল ঘোয বলেন, “আদালত, অফিস-কাছারি খুলছে। আশা করছি আজ থেকে যাত্রী হবে। সেই কারণে রাস্তায় বাসও বাড়বে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement