হাসপাতালের পথে। —নিজস্ব চিত্র।
রেল লাইনের ধারে জখম অবস্থায় পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। রানাঘাট জিআরপি থানায় খবর দেওয়ার পরও তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করেনি পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা রেল অবরোধ করে।
অবরোধের পরে রেল পুলিশ এসে জখম ব্যাক্তিকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে অবরোধ ওঠে। রেল পুলিশ অবশ্য অবরোধের কথা স্বীকার করেনি। এ দিন রাত পর্যন্ত জখম ব্যাক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ রানাঘাট রেল স্টেশন লাগোয়া চাবি রেলগেটে লাইনের ধারে বছর চল্লিশের এক ব্যাক্তি রক্তাত্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গেই রানাঘাট জিআরপি থানায় খবর দেওয়া হয়। অভিযোগ, আধ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ ওই অচেতন ব্যাক্তিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাই করেনি।
এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে লাইনের উপর বসে পড়ে অবরোধ শুরু করে। অবরোধের ফলে রানাঘাট-শিয়ালদহ শাখায় বেশ কিছু সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর রেল পুলিশ ওই ব্যক্তিকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ওঠে অবরোধ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে। রানাঘাট জিআরপি থানার আইসি দেবকুমার রায় বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে তিনি আহত হয়েছেন। খবর পাওয়া মাত্রই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেরি করার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ রেল অবরোধের কথাও তিনি স্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, লাইনে প্রচুর লোক দেখে ট্রেন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত পর্যন্ত জখম ব্যক্তির জ্ঞান ফেরেনি।