ভাঙা হচ্ছে ঘর: বহরমপুরের বাসুদেবখালিতে। নিজস্ব চিত্র
জমি অধিগ্রহণ করে বছর সাতেক আগেই সেই জমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই জমির বেশ কিছু জায়গায় বাড়িঘর থাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বহরমপুর বাইপাস রাস্তার কাজ থমকে ছিল। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে সেই জমি দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এ দিন বহরমপুরের বাসুদেবখালি আলমপাড়ায় ১৪টি দোকান ও বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার ফের উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
ক্ষুব্ধ জমি মালিকদের অভিযোগ, জমির দাম খুবই কম দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাস্তু জমির এক শতকের দাম চেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। কিন্তু সরকার দিয়েছে সাকুল্যে ৪৭ হাজার টাকা। প্রশাসন আমাদের কথায় কান না দিয়ে এ দিন বাড়ি ভেঙে জমির দখল নিতে শুরু করেছে।
জাতীয় সড়কের মালদহ ডিভিসনের প্রকল্প আধিকারিক দীনেশ হাংসারিয়া বলছেন, ‘‘জাতীয় সড়কের কাজ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ করতে হবে। সেই মতো এ দিন বাসুদেবখালিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান শেষে রাস্তার কাজ শুরু হবে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বহরমপুরের বাইপাস রাস্তার কাজ শেষ করার কথা। সেই মতো কাজও হবে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলছেন, ‘‘ওই জমি অধিগ্রহণ করে আগেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান করছেন। আমরা প্রশাসনিক ভাবে ওঁদের সাহায্য করছি।’’
বহরমপুরের যানজট কমাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বাইপাস রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করেন। বহরমপুরের বলরামপুর থেকে মানকরা হয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে বাসুদেবখালি হয়ে খাগড়াঘাট স্টেশনের পশ্চিম দিক দিয়ে ফতেপুরের কাছ পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা বাইপাস রাস্তা হবে বলেই খবর। কিন্তু অন্য দিকে সমস্যার সমাধান হলেও বাসুদেবখালিতে জমি জটে আটকেছিল রাস্তার কাজ।
সেখানে ৫৮টি বাড়ি জাতীয় সড়কের অধিগৃহীত জমিতে পড়েছে। এত দিন সেই বাড়ি থাকায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজ করতে পারছিলেন না। জাতীয় সড়কের কাজ নিয়ে মামলাও হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ দিন জমি নিজেদের দখলে নিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।