গ্রামীণ গৃহ প্রকল্পে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল নদিয়া জেলা। ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৯৮.৫৬ শতাংশ সম্পূর্ণ করে নিজেদের দেশের শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে।
এর আগেও একাধিক বিষয়ে সাফল্য পায় নদিয়া জেলা। ‘নির্মল জেলা’ হিসাবে নদিয়া ইউনেসকো থেকে পুরস্কারও নিয়ে এসেছে। তবে এ বারের এই সাফল্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শেখর সেন বলছেন, “জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের ফলেই আমরা আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। তবে এই জায়গাটা ধরে রাখার জন্য আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার ৫২০টি বাড়ি। তার মধ্যে ৪৭ হাজার ৯৩টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৯৮.৫৬ শতাংশ। খরচ হয়েছে মোট ৬৬০ কোটি টাকা। মোট ছ’টি বিষয়ের উপরে সাফল্য বিচার করে কেন জেলা কত নম্বরে আছে তা বিচার করা হয়। গৃহ অনুমোদনের হার, আধার সংযুক্তিকরণের হার, শতকরা ইনস্টলমেন্ট প্রদানের হার ও গৃহনির্মানের হারের উপরে ভিত্তি করে জেলা দেশের ৬১১টি জেলার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। যার প্রতিটি ক্ষেত্রেই যথেষ্ট সাফল্য দেখানোর পরেই নদিয়া জেলা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করছে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি। জেলা প্রশাসনের দাবি এই সাফল্যের পাশাপাশি বাড়ি করার জন্য প্রকল্পের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার সঙ্গে একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে আরও ১৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে শৌচাগার। পাশাপাশি ৪৫ হাজার ১০৪টি বাড়িতে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে শোষক পিট ও কম্পোস্ট পিট। এ ছাড়া জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৭ হাজার ৬০১টি বাড়িতে গ্যাসের ও ১৪ হাজার ৩শো ৭৯টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তৃণমূলের বাণীকুমার রায় বলছেন, “সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের একটা প্রতিনিধি দল নদিয়ায় এসে সবটা ঘুরে দেখে গিয়েছেন। কেন্দ্র সরকার আমাদের এই উদ্যোগকে মডেল হিসাবে গ্রহণ করেছে।”