হরিহরপাড়ায় কিশোরী খুনের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও কোন জট খুললনা।এমনকি গত ২৯ নভেম্বর সকালে হরিহরপাড়া থানার ভবানিপুর গ্রামের লঙ্কাখেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় কিশোরীর দেহ উদ্ধার করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ তার কোন পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি।যদিও জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, তারা ওই কিশোরীর পরিচয় জানতে জেলার বিভিন্ন থানা,এমনকি পাশের জেলা নদিয়া জেলার বিভিন্ন থানাতেও নিহতের ছবি পাঠিয়েছিলেন ।কিন্তু কোন সূত্র মেলেনি। ফলে কিশোরী হত্যা মামলার তদন্তে পুলিশ এগোতে পারেনি। তৃণমুলের জেলাপরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ও হরিহরপাড়ার বাসিন্দা শামসুজ্জোহা বিশ্বাস জানান, তাঁরাও বিভিন্ন জায়গায় নিহত ওই কিশোরীর সন্ধান করেছেন,পুলিশ ও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছে , দেখাযাক, কোন হদিশ মেলে কিনা! প্রসঙ্গত,২৯নভেম্বর হরিহরপাড়া থানার ভবানীপুর গ্রামের তেহট্টের এক লঙ্কাখেতে কিশোরীর ফাঁসলাগা অবস্থায় মৃতদেহ মেলে।পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই নিহত কিশোরীর বাড়ি দুরের অন্য কোন জেলায়, সম্ভবতঃ তাঁর পরিচিত কোন যুবক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ফাঁকা মাঠে ২৮নভেম্বর রাতে নিয়ে এসেছিল।এরপর তাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে প্রমাণ লোপাট করতে মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয়। তবে খুনের ধরণ দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে ,অজ্ঞাতপরিচয় ওই কিশোরীকে রীতিমতো ছক কষে খুন করা হয়েছে।তদন্তকারী পুলিশ টিম হরিহরপাড়া থানার পাশের থানা ,এমনকি লাগোয়া নদিয়া জেলার থানারপাড়া ,তেহট্ট সহ বিভিন্ন থানায় খোঁজ করেও কোন কিশোরী ও যুবকের ও নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ মেলেনি।সব মিলিয়ে কিশোরী খুনের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও কেউ তার দেহ সনাক্ত না করায় সম্পুর্ণ অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ।এখন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত কিশোরীর দেহ বহরমপুর মর্গে রাখা আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিহারিয়া এলাকার বাসিন্দা লতিফ সেখ ,আনোয়ার হোসেনদের দাবি ,তাঁদেরএলাকায় এসে মর্মান্তিক ভাবে কিশোরী খুন হয়ে গেল, কিন্তু এখনও কোন পরিচয় মিললনা, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।