মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বিধানসভা ভোটের দিন রাজনৈতিক দলের এক কর্মী খুন হন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত নির্দেশ দিয়েছেন, খুনের ঘটনার কেস ডায়েরি আজ, বৃহস্পতিবার তাঁর আদালতে হাজির করতে।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম তহিদুল মণ্ডল। সিপিএম দাবি করেছিল, তিনি তাদের বুথ এজেন্ট ছিলেন। খুনের অব্যবহিত পরে তহিদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে ডোমকল থানায় এফআইআর করা হয়। তহিদুলের ছেলে রহিদুলের অভিযোগ, তার পরে পুলিশ মাত্র দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন রহিদুল। এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল। রহিদুলের আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, ডোমকলে একটি বুথের বাইরে তহিদুলকে বোমা, গুলি ছুড়ে খুন করা হয়। থানায় গিয়ে এক অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তা শুনে বিচারপতি দত্ত রাজ্যের গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) অভ্রতোষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘বাকিদের গ্রেফতার করা গেল না কেন?’’ বিচারপতি আরও জানতে চান, যে বুথের বাইরে খুন করা হয়, সেই বুথের নির্বাচন কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কি না অথবা তাঁদের বয়ান নথিভূক্ত করেছে কি না। জিপি জানান, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তা জেনে বিচারপতি দত্ত জিপি-র উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশি তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় থাকছে।’’ তার পরেই জিপি-কে বিচারপতি দত্ত নির্দেশ দেন, আজ মামলার কেস ডায়েরি তাঁর আদালতে পেশ করতে।